নিজস্ব প্রতিবেদন: হোয়াটসঅ্যাপের ভুয়ো খবরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা। গত কয়েক দিনে একাধিক গণপিটুনির ঘটনায় কাঠগড়ায় এই বার্তাবিনিময়ের অ্যাপ। তাই এবার হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো খবর নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। কঠোর হাতে গুজব বা ভুয়ো বার্তা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপকে কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানোর উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এব্যাপারে নিজেদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারে না হোয়াটসঅ্যাপ। 


তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে হোয়াটসঅ্যাপ পাল্টা জানিয়েছে, ভুয়ো খবর, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও গুজবের মোকাবিলায় সরকার, সমাজ ও প্রযুক্তিকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করে হোয়াটসঅ্যাপ। সেটা মাথায় রেখে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। গুজব রুখতে ইতিমধ্যে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রককে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, পণ্য নিয়ন্ত্রণ, তথ্য যাচাই ও আগাম পদক্ষেপ। হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, অপরাধের তদন্তে সংশ্লিষ্ট আইনি সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করেছে তারা। এর পাশাপাশি, দেশজুড়ে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে শীঘ্রই কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তাও বুঝতে পারা যাবে। 


গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের ধুলেতে শিশু অপহরণকারী সন্দেহে পাঁচজনকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরা ও অসমেও। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, হোয়াটসঅ্যাপেই ছেলেধরার ভুয়ো খবর পাঠিয়ে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। 


আরও পড়ুন- দিল্লির 'প্রকৃত' ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে, উপ-রাজ্যপাল 'বাধা' সৃষ্টি করতে পারেন না