নিজস্ব প্রতিবেদন: হজ ‌যাত্রীদের জন্য ভর্তুকি বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন হজ‌যাত্রীদের ভতুর্কি দিতে ‌যে টাকা খরচ হতো, এবার সেই টাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভূক্ত মেয়েদের শিক্ষা ও সার্বিক ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে মোদী সরকার।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি মঙ্গলবার জানান, এ বছর থেকে আর হজ ‌যাত্রার জন্য ভর্তুকি দেবে না কেন্দ্র। ওই ভর্তুকিতে মুসলিমদের কোনও উপারাকই হচ্ছিল না। তবে তার পরও এ বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার মুসলিম হজে ‌যাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিই হল দেশের মুসলিমদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতাশালী করে তোলা। কোনওভাবেই তাদের তোষণ করা নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ভর্তুকি তুলে দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন-বিনিয়োগে বাধা দিলে দলকেও রেয়াত নয়, বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে বার্তা মমতার


উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে নির্দেশ দেয়, হজযাত্রায় ভর্তুকি দেওয়া অসাংবিধানিক। তাই এই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হোক। আদালতের ওই রায় উল্লেখ করে কেন্দ্র আগেই অবশ্য জানিয়েছিল, ধীরে ধীরে ২০২২ সালের মধ্যে হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়া হবে। তবে হঠাৎ ওই ২০১৮ সালেই তা কেন্দ্রের মনে পড়ে গেলে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী মহল থেকে।


প্রসঙ্গত ২০১২ সালে কেন্দ্র হজে ভর্তুকি দিয়েছিল ৬৮০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে তা কমিয়ে করে দেওয়া হয় ৪০৫ কোটি টাকা। নকভির মতে ভর্তুকির ওই টাকার সবটাই ‌যেত এয়ার ইন্ডিয়ার ভাঁড়ারে। কারণ ভর্তুকি দেওয়া হতো বিমান ভাড়ায়।


এদিকে, হজে ভতুকি তুলে দেওয়া খুশি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোন্যাল ল বোর্ড। সংগঠনের সদস্য কামাল ফরুকি সংবাদ মাধ্যমে জানান, হজ ভর্তুকি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারনা তৈরি হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল সরকার মুসলিমদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। এবার তা বন্ধ হবে।