নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অভিন্ন অংশ বলে দাবি করলেন ভারতে বসবসকারী চাকমারা। সুবিচার পেতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও দাবি করেছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সাল থেকে ১৭ অগাস্ট কালা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ত্রিপুরার চাকমা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ দেখান পড়়ুয়ারা। চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া সাধারণ সম্পাদক উদয়জ্যোতি চাকমা বলেন, '১৯৪৭ সালে অবিচার করা হয়েছিল। চাকমা সংখ্যাবহুল পার্বত্য চট্টগ্রাম দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে।' সংগঠনের সহ-সভাপতি অনিরুদ্ধ চাকমার কথায়,'পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চাকমাদের উপরে চলছে অকথ্য অত্যাচার। গণহত্যা করা হয়েছে চাকমাদের। আমরা মনে করি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অভিন্ন অংশ। সুবিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার দাবি করছি।'



চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার বক্তব্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা-সহ আরও ৯ আদিবাসী সম্প্রদায় ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। কারণ, তাঁরা হিন্দু অথবা বৌদ্ধ ছিলেন। কিন্তু সেটা হয়নি। ১৯৪৭ সালের ১৭ থেকে ২০ অগাস্ট ভারতের পতাকা উঠেছিল রাঙ্গামাটিতে। পরে সেটি নামিয়ে দেয় পাক সেনা।        


চাকমাদের নেতা কল্লোল চাকমার দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৪৭ সালে চাকমারা ছিলেন ৯৭.৫ শতাংশ। ১৯৬৪ সালের পর চাকমারা প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছেন ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচলপ্রদেশে। আর এক চাকমা নেতা রোমেল চাকমার অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে চামকরা। চাকমাদের জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। অত্যাচার হচ্ছে। খুন করা হয়েছে।              


পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস অন্তত ১০টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের। জায়গাট প্রায় ৫,১৩৮ বর্গ মাইল। স্বাধীনতার সময় জায়গাটিতে সংখ্যাগুরু ছিলেন হিন্দু ও বৌদ্ধরা। তা সত্ত্বেও সেটি তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানকে দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে ভারতে পালিয়ে আসেন ৫০ হাজারের বেশি আদিবাসী। আশ্রয় নেন ত্রিপুরা ও মিজোরামে। তাঁদের অনেককে জায়গা দেওয়া হয় অরুণাচলপ্রদেশে। ২০১৩ সালে চাকমাদের একটি দল ভারতে থাকার আবেদন করেন। কিন্তু তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।      


আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘে ধাক্কা খেয়ে কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দরজায় যাচ্ছেন ইমরান