নিজস্ব প্রতিবেদন: ল্যান্ডারের বিক্রমের বিচ্ছিন্ন হয়েছে সংযোগ। কিন্তু চাঁদের মাটিতে অবতরণ না করতে পারলেও মুখ থুবড়ে পড়েনি ভারতের চন্দ্রাভিযান। ল্যান্ডার সংকেত না পাঠালেও চাঁদের কক্ষপথে রয়ে গিয়েছে অরবিটার। ওই অরবিটারের আয়ু অন্তত ১ বছর। আগামী ১ বছর ধরে সেটি চাঁদের ভূপৃষ্ঠ ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চন্দ্র অভিযান মোটেও ব্যর্থ হয়নি। বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। অভিযানের মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার এখনও চাঁদের কক্ষপথে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, আগামী এক বছর ধরে অরবিটার চাঁদের ছবি তুলে পাঠাতে থাকবে ইসরোকে। ল্যান্ডারটির অবস্থান সম্পর্কেও জানাবে সেটি। কিন্তু ল্যান্ডারের ভিতরে রোভারটি মাত্র ১৪ দিন চলত।



চন্দ্রযান মিশনে খরচ পড়েছে ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই একই ধরনের অভিযান করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপোলো অভিযানে খরচ পড়েছিল ১০০ বিলিয়ন। ইসরোর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।    


শনিবার মধ্যরাতে গোটা দেশের আশা-ভরসা হয়েছিল ইসরো। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় রাত ১.৩৮ মিনিটে। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে।  রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে কী হয়েছে বলা সম্ভব।


আরও পড়ুন- কলেজে ভর্তির আগে পর্যন্ত জুতো ছিল না, কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনিই ইসরোর প্রধান