আবেগ লুকিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘোষণা শিবনের; দেশ গর্বিত, কুর্নিশ নেটিজেনদের
গত এক বছর ধরে চন্দ্রযান ২ অভিযানকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হঠাত্ তাল কাটল। ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল ইসরো সেন্টারের। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। ইসরোর পাশে দাঁড়ালেন নেটিজেনরা। সকলেরই এক কথা, দেশ গর্বিত।
গত এক বছর ধরে চন্দ্রযান ২ অভিযানকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডারের বিক্রমের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হল যোগাযোগ। মাথা নিচু। আবেগ লুকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করলেন ইসরোর কে শিবন। ঘোষণা করলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত বলা সম্ভব।
ভিডিয়োটি শেয়ার করে নেটিজেনরা বলছেন, আপনি হারেননি কে শিবন। দেশকে গর্বিত করেছেন। কেউ বলছেন, মানুষটার অবস্থা ভাবুন। কতটা পরিশ্রম করেছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ লিখেছেন, নাসার লোভনীয় চাকরি ছেড়ে ইসরোয় দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন কৃষক পরিবারের ছেলে কে শিবন। আপনি ব্যর্থ হননি। দেশ গর্বিত।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে শিবনের কাঁধে হাত রেখে দিয়েছে সান্ত্বনা। বিজ্ঞানীদের মোদীর বার্তা, হতাশ হবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকে। আপনারা দারুণ কাজ করেছেন। দেশ গর্বিত। ভবিষ্যতেও অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে। সাহস হারাবেন না।''
চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের স্পর্শের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় রাত ১.৩৮ মিনিটে। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে। সেই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য বড় হলে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নাও, ইসরোয় পড়ুয়াদের সাফল্যের টোটকা মোদীর