লক্ষ্য বড় হলে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নাও, ইসরোয় পড়ুয়াদের সাফল্যের টোটকা মোদীর
ল্যান্ডারের বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইসরো সেন্টারের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন নমো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল গোটা দেশ। ইসরো সেন্টারে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ। তবে বিজ্ঞানীদের হতাশ না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দেখা করেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। দিলেন জীবনে সাফল্যের টোটকা।
ল্যান্ডারের বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইসরো সেন্টারের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন নমো। প্রধানমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে প্রশ্ন করেন ছাত্রছাত্রীরা। এক পড়ুয়া জানতে চান, কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছবে স্যর? নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ,লক্ষ্য বড় হলে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নাও। যা পেয়েছো সেটাকে যোগ করতে থাকো। আর ব্যর্থতা ভুলে যাও। হতাশা আসতে দিলে চলবে না।
এক ছাত্র জিজ্ঞেস করে, দেশের রাষ্ট্রপতি কীভাবে হব? নরেন্দ্র মোদী হেসে জবাব দেন, প্রেসিডেন্ট কেন প্রধানমন্ত্রী হোন। এরপর ছাত্রছাত্রীদের আবদার মিটিয়ে অটোগ্রাফও দেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন বিজ্ঞানীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মনোবল বাড়ান প্রধানমন্ত্রী। বলেন,''সাহস হারাবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবে। ভবিষ্যতে অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে। হিম্মত রাখুন।''
চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের স্পর্শের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় রাত ১.৩৮ মিনিটে। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে। সেই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির। রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কী হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের? সেটা তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা সম্ভব বলে মনে করছেন শিবন।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: জীবনে উত্থান-পতন আসবে, হিম্মত হারাবেন না, বিজ্ঞানীদের উজ্জীবিত করলেন মোদী