নিজস্ব প্রতিবেদন: চারধাম যাত্রা প্রতিটি ভারতীয়ের মনেই ভিন্ন রোমাঞ্চ নিয়ে আসে। যুগ যুগ ধরে ভক্তেরা এই তীর্থপথে আসেন পুণ্যসঞ্চয়ের লোভে। বিশ্বাস যে, চারধাম যাত্রা করে এলে মুক্তিলাভ হয়। আর মুক্তিই তো হিন্দুদের অন্তিম লক্ষ্য।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর করোনার কারণে চারধাম যাত্রা হয়নি। ব্যাহত হয়েছিল তার আগের বছরেও। তাই সকলে অধীর আগ্রহে এ বছরের জন্য অপেক্ষা করছিল। অবশেষে এসে গেল সেই লগ্ন। আজ, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ৩ মে শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা।


সাধারণত এদিনই চারধাম-- কেদার, বদ্রী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর দ্বারোদ্ঘাটন হয়। তবে এ বছর আজকের দিনে ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খুলছে শুধুই যমুনোত্রী। আগামি ৬ মে খুলবে কেদারমন্দিরের দ্বার, বদ্রীনারায়ণের মন্দির খুলছে ৮ মে। খুলে যাবে গঙ্গোত্রীও।


তবে চারধাম নিয়ে নানা মত, নানা মতভেদ, নানা দ্বিধা। যেমন, একদল বলেন, এখন চারধাম বলতে যা চলছে, সেটা মোটেই প্রকৃত চারধাম নয়। এখন চারধাম বলতে বোঝানো হয় কেদার বদ্রী গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী। বিশুদ্ধবাদীরা বলেন, প্রকৃত চারধাম তা নয়; প্রকৃত চারধাম হল-- পূর্বে পুরী, পশ্চিমে দ্বারকা, দক্ষিণে রামেশ্বরম, উত্তরে বদ্রীনারায়ণ। তাঁরা বলেন, আদি শঙ্করাচার্য হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানকল্পে ভারতের চারদিকে এই চার মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এই চারধাম দর্শন করলে মুক্তি লাভ অবধারিত। 


অবশ্য বিতর্কের অবসান করেন আর এক দল। তাঁরা বলেন, দুটিই চারধাম। একটি হল শুধু 'চারধাম' অন্যটি 'ছোট চারধাম'। এই ছোট চারধামই হল বহুচর্চিত হালের কেদার-বদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রী যাত্রা। তবে 'চারধাম' বলতে কিন্তু বোঝায় সেই আদি চার মঠ--  পুরী, দ্বারকা, রামেশ্বরম, বদ্রীনারায়ণ। সেই চারধাম যাত্রাও মানুষ করেন। 


আরও পড়ুন: Char Dham Yatra: করোনাকে হারিয়ে অবশেষে শুরু হয়ে গেল চারধাম যাত্রা; খুলল যমুনোত্রী


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)