জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নববর্ষের দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। শেষপর্যন্ত গতকাল তাঁর দেহ মিলল এলার এক প্রভাবশালী কন্ট্রাক্টরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। ওই রোড কন্ট্রাক্টরের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছিলেন মুকেশ। ২৮ বছরের ওই সাংবাদিকের বাড়ি ছত্তীসগড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাতে ব্যস্ত রাস্তা আটকে ঝামেলা করায় মানুষের হয়রানি, বাবুল-অভিজিতের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ...


বস্তারে ওই ঠিকেদারে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে আসতেই তা তদন্ত করতে তদন্ত কমিশন বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ওই কন্ট্রাক্টরের ভাই ঋতেশ একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সেই বৈঠকে গিয়েছিলেন মুকেশ। তার পর থেকেই তার ফোন সুইচড অফ আসছিল। এমনটাই জানিয়েছেন মুকেশের দাদা। ফোন অফ দেখেই তাঁরা পুলিসে খবর দেন।


পুলিস তদন্তে নেমে দেখতে পায় মুকেশের সর্বশেষ লোকেশন দেখাচ্ছে ওই কন্ট্রাক্টরের একটি বাড়িতে। তার পরেই ওই বাড়ি ঘিরে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। শেষপর্যন্ত মুকেশের মৃতদেহ পাওয়া যায় ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে। গত ৩ তারিখে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিস।


ওই ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তার মধ্যে রয়েছে কন্ট্রাক্টর দীনেশ চন্দ্রকর ও ঋতেশ চন্দ্রকর।  পাশাপাশি দীনেশের পরিচিত আরও অনেককে জেরা করা হচ্ছে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন, এই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের খুনের ঘটনা খুবই বেদনার। কোনও পরিস্থিতিতেই খুনিদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। পুলিসকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)