জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরকে নির্মম ভাবে খুন করা হয় গত ৩ জানুয়ারি। বিজাপুরে এলাকার এক কন্ট্রাক্টরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। এবার সেই মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্টে উঠে এল ভয়ংকর নৃশংসতার ছবি। এমন নৃশংসতা দেখে আঁত্কে উঠেছেন চিকিত্‍সকেরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শিকড়ে আঘাত করেছিলেন, নিখোঁজ সাংবাদিকের দেহ মিলল কন্ট্রাক্টরের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে


কী রয়েছে ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে? ময়না তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মুকেশের খুলির ১৫টি হাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘাড়া ভাঙা। লিভার ৪ টুকরো করা হয়েছে। মোট ৫টি পাঁজর ভাঙা। সেই পাঁজর ভেঙে বের করা হয়েছিল হৃত্পিণ্ড। সেই হৃত্পিণ্ডেও আঘাত করা হয়েছে। হাতের হাড় ভাঙা পাওয়া গিয়েছে। খুনের পর মূল অভিযুক্ত সুরেশ মুকেশের দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। দেহটি শেষপর্যন্ত ট্যাটু দেখে সনাক্ত করেন মুকেশের দাদা। ময়না তদন্তকারীদের দাবি, খুনের সঙ্গে অন্তত ২ জন জড়িত ছিল।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি এলাকার এক কন্ট্রাকটারের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত কমিশন গঠন করে ছত্তীসগঢ় সরকার। এর পরই গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মুকেশ। অভিযুক্ত কন্ট্রাক্টরের ভাই ঋতেশ একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। কোনও কারণে সেই বৈঠকে গিয়েছিলেন মুকেশ। তার পর থেকেই তার ফোন সুইচড অফ দেখাচ্ছিল।


পুলিস তদন্তে নেমে দেখতে পায় মুকেশের সর্বশেষ লোকেশন দেখাচ্ছে ওই কন্ট্রাক্টরের একটি বাড়িতে। তার পরেই ওই বাড়ি ঘিরে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। শেষপর্যন্ত মুকেশের মৃতদেহ পাওয়া যায় ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে। গত ৩ তারিখে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিস। তদন্ত নেমে পুলিসের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম হায়দরাবাদ থেকে সুরেশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)