নিজস্ব প্রতিবেদন:  সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওয়ের মামলায় নিজেকে সরিয়ে নিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সিবিআই অধিকর্তার ৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। যে কমিটি গত ১০ জানুয়ারি সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে অলোক ভার্মাকে অপসারণ করিয়ে তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থানান্তিরত করা হয়। অলোক ভার্মার অপসারণের সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের প্রতিনিধি বিচারপতি একে সিক্রি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করবেন কে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরানো হচ্ছে অসুস্থ জেটলিকে!


আরও জানা যাচ্ছে, পরবর্তী সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের নিয়োগ কমিটি। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ওই দিনেই এম নাগেশ্বরের নিয়োগ মামলার শুনানি থাকায় তিনি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। ওই মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি একে সিক্রির এজলাসে।  


আরও পড়ুন- জনসভায় আপ নেতার শপথ, 'আর মদ ছুঁয়েও দেখব না'


সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা হিসাবে এম নাগেশ্বর রাওকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সংস্থার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের আবেদন, সিবিআইয়ের ডিরেক্টর পদে নাগেশ্বর রাওকে যে ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অসংবিধানিক এবং অবৈধ। পাশাপাশি, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, দিল্লির স্পেশ্যাল পুলিস অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি।


উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ছুটিতে থাকা অলোক ভার্মাকে সিবিআইয়ের অধিকর্তার পদে বসায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এর পর নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তে সিবিআই পদ থেকে বদলি করে ডিজি দমকলে স্থানান্তরিত করা হয়। নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তের পরই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অবসর নেন অলোক ভার্মা। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর দু’বছরে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি।