নিজস্ব প্রতিবেদন- লাদাখ অতীত। এবার মণিপুরের দিকে নজর চিনের। আর তাই উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা। ভারতের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এই রিপোর্ট দিয়েছে। চলতি বছর জুলাই মাসে মণিপুরের চন্দেল জেলায় জঙ্গি হামলায় অসম রাইফেলস-এর চারজন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও চার জওয়ান। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, মায়ানমার হয়ে চিন থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ঢুকছে মণিপুরে। এমনকী জঙ্গিদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিতেও মদত জোগাচ্ছে চিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

Revolutionary People's front(RPF), People's Liberation Army for Manipur( PLAM) ও United National Liberation Front (UNLF)-র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি মণিপুরে সক্রিয়। এই সব সংগঠনগুলিকে AK-47, AK-56, হ্যান্ড গ্রেনেড, নাইট ভিশন ডিভাইস ও বিস্ফোরক সরবরাহ করছে চিন। এমনকী মায়ানমারের সেনম ও বুয়ালকুংগে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থাও করেছে তারা। এমনকী চিন নিজের দেশে তৈরি অত্যাধুনিক হাতিয়ার মণিপুরের জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বলেও খবর দিয়েছে ভারতের গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন-  Farmers Protest: কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে ২৫০ কিলোমিটার জিপ চালিয়ে হাজির 'দাদি'


জুলাই মাসে অসম রাইফেলসের জওয়ানদের উপর হামলার পরই বাংলাদেশ ও  মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপের দিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। ২০১৫ সালে মায়ানমার সীমান্তে জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর গত তিন-চার বছর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপ কিছুটা কমেছিল বটে। তবে আরও একবার একাধিক জঙ্গি সংগঠন সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এর পিছনে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে চিনের। লাদাখে গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে ভারত-চিন বিবাদ চলছে। এরই মধ্যে মণিপুরে অশান্তি ছড়িয়ে সেখানে শিকড় ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে ড্রাগনের দেশ। এর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে চিনা আধিকারিকদের বৈঠকের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে।