Haryana: সর্ষেখেতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া কৃষকের, পড়ে থাকা ট্রলি ব্যাগ থেকে বেরিয়ে রয়েছে কাটা হাত-পা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার, কর্ণাটকের বাগারকোটের পর এবার হরিয়ানার রেওয়ারি। দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ের পাশের খেত থেকে উদ্ধার হল মহিলার কাটা হাত, দেহাংশ। কিছুটা দূরে পড়ে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। মঙ্গলবার অন্য়ান্য দিনের মতো নিজের ক্ষেতে গিয়েছিলেন রামপাল। দেখেন, তাঁর সর্ষেখেতের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক মহিলার মাথা ও দেহাংশ। একটু দূরেই পড়ে রয়েছে একটি ট্রলি ব্যাগ। সেখান থেকে বেরিয়ে রয়েছে মহিলার হাত-পা। 

পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ তার সর্ষেখেতে জল দিতে গিয়েছিলেন রামপাল। দেখেন খেতে পড়ে রয়েছে কালো রঙের একটি ট্রলি ব্যাগ। সেটির পাশে ঘোরাফেরা করছে কুকুর। ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসছে কটু গন্ধ। রামপাল ব্যাগের কাছে গিয়ে দেখেন সেখান থেকে বেরিয়ে রয়েছে একটি হাত। একটু দূরেই পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহাংশ।

ওই মৃতদেহ দেখেই পুলিসে খবর দেন রামপাল। ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিসের বিশাল টিম। হরিয়ানার খাসোলা থানার এসএইচও জানিয়েছেন, মৃতদেহ কমপক্ষে ১০ দিনের পুরনো। সেটিকে আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। রাজ্য়ের সব থানাকে এ ব্যাপারে খবর দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্ণাটকের বাগালকোটে কুড়ি বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ, বাবাকে খুন করে ৩২ টুকরো করে ফেলে ওই তরুণ। কেন এমন নৃশংসতা? পুলিসকে অভিযুক্ত ভিথালা কুলালি(২০) জানিয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর ওই ঘটনা ঘটেছিল। রাগের মাথায় সে তার বাবা পরশুরাম কুলালিকে(৫৩) খুন করে। কারণ বাবার ছিল মদের নেতা। অধিকাংশ দিনই পুরশুরাম মদের নেশা করে বাড়ি ফিরতো। তারপর সে অন্য মানুষ। শুরু হতো গালিগালাজ। ঘটনার দিন এসব একটু বেশিই হয়েছিল। ওই দিন সন্ধেয় নেশাগ্রস্ত পরশুরাম বাড়ি ফিরে ভিথালাকে গালিগালাজ শুরু করে। এতেই মাথার ঠিক থাকেনি। লোহার একটি রড তুলে বাবার মাথায় মেরে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পরশুরামের। 

রোজই এরকম চিত্কার চেঁচামেচি হয় কিন্তু ওই দিন আচমকা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় আর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি ভিথালি। তবে সামলে নিয়ে বাবার দেহ কেটে ৩২ টুকরো করে ফেলে। এবার সেইসব টুকরো দেহাংশ বাগালকোটের একটি বোরওয়েলে ফেলে দেয়।