নিজস্ব প্রতিবেদন: সিএএ – এনআরসি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে গণভোটের দাবি জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণার পরই পাল্টা কটাক্ষ আসতে শুরু করে গেরুয়া শিবির থেকে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কলকাতায় এসে যেমন বললেন, ভারতের সংসদকে অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে যেমন গণভোট দাবি করে পাকিস্তান, সেই একই ভাষা বলছেন মুখ্যমন্ত্রীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণভোটের দাবি তোলেন। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন তা রুখে দেখাক দেখি। ২০২৪ সালের আগে একটা ভোট হয়ে যাবে কার পক্ষে কত মানুষ রয়েছেন। তবে, আজ এই গণভোট প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। গণভোটের কথা বলা হয়নি। নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের তত্ববধানে জনগণের মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। উদাহরণ হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের কথা উল্লেখ করি। আমি চাই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে গণভোট হোক। 



আরও পড়ুন- হিংসায় যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তারা এই আন্দোলনের শত্রু, সিএএ নিয়ে সরব ওয়েইসি


এদিন কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলব গায়ের জোর না দেখিয়ে, জেরাজেরি না করে মানুষেক আন্দোলন মেনে নিন। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দয়া করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। তাঁর মন্তব্যকে কটাক্ষ করায় বিজেপিকে পালটা বিঁধেছেন মমতা। বলেন, '১৯৮০ সালের একটা দলের কাছ থেকে আমাকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না।'