নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হিংসার ঘটনায় সমালোচনা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর মন্তব্য সুনজরে দেখছে না কংগ্রেস। লোকসভায় তাদের দলনেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, বিজেপি নেতাদের মতো কথাবার্তা বলছেন সেনাপ্রধান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন,''মানুষের মধ্যে নেতার অভাব নেই। কিন্তু সকলেই নেতা হয়ে উঠতে পারেন। কারণ, নেতাকে যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁদের সঠিক পথ দেখা হয়। এটা নেতৃত্ব। ভুল পথে নিয়ে গেলে সঠিক নেতৃত্ব বলা যায় না। আমরা দেখছি প্রচুর মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এটা মোটেই সঠিক নেতৃত্বদান নয়।'' সেনাপ্রধানের এহেন মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়,''নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্য আপত্তিকর, নীতিহীন ও তাঁর সীমার বাইরে। ওনাকে বিজেপি নেতা মনে হচ্ছে। ভারতীয় সেনার নিরপেক্ষতা ধরে রাখার দায়িত্ব পালন করুন রাওয়াত।'' 


দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পুনে-সহ একাধিক জায়গায় পড়ুয়ারা সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন। দফায় দফায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে তাঁদের। জিমিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিস লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আহত হন বেশ কিছু পড়ুয়া। কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশে।   


বুধবার প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশে বার্তা দেন, উত্তরপ্রদেশে যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের বলতে চাই, ঘরে বসে আত্মসমালোচনা করুন। তাদের আচরণ ঠিক না ভুল, তা ভেবে দেখুন। বাস ও সরকারি সম্পত্তি  ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলি সব আগামী প্রজন্মের।



এর পাশাপাশি যোগীর প্রশাসনের পাশেও কার্যত দাঁড়ান মোদী। বলেন, ''নিরাপদ পরিবেশ আমাদের আধিকার।  নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর আমরা নিজেদের অধিকার চেয়েছি। কিন্তু এবার নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।'' 


আরও পড়ুন- যাদবপুরের আচার্যের পদ থেকে 'অযোগ্য' ধনখড়কে বহিষ্কার করল SFI-র ছাত্র সংসদ