নিজস্ব প্রতিবেদন: স্থান রাজ্যসভা। শাসক এনডিএ। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি করছেন মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার ২০০৩ সালের ওই ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে বিজেপি। উদ্দেশ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা মেলে ধরা।                 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির দেওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ২০০৩ সালে রাজ্যসভায় মনমোহন সিং বলছেন,''আমি শরণার্থীদের অবস্থা নিয়ে বলতে চাই। দেশভাগের পর বাংলাদেশের মতো দেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও উদার হতে হবে। আমি আশা করব, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন।''



মনমোহনের বক্তব্যের পর ডেপুটি চেয়ারম্যান ধরিয়ে দেন,''পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের বিষয়টিও দেখুন।'' আমি বিরোধী নেতার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি, উঠে দাঁড়িয়ে বলে তত্কালীন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী।        


রাজ্যসভায় তখন বিরোধী দলনেতা মনমোহন সিং। বিজেপির দাবি, বিরোধী থাকাকালীন তো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সওয়াল করেছিলেন। এখন তবে উল্টো সুর কেন? 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০০৫ সালের একটি ভিডিয়োও ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ওই ভিডিয়োয় মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমি সংসদের কার্যপ্রক্রিয়া ভঙ্গ করতে চাই না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ভোটার তালিকা আমার সঙ্গে রয়েছে। এটা গুরুতর বিষয়। কখন এটা নিয়ে আলোচনা হবে?''   


ওই ভিডিয়োটি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ভিডিয়োটি বিজেপি আইটি সেল টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন,''আমার নামে একটা ভুয়ো ভিডিয়ো এ টু জেড চালাচ্ছে। আমি তখন কী করেছিলাম? সিপিএম তখন ভোট করাতে দিত না। এক একজনের ৫০টা তালিকায় নাম ছিল। 'নো আইডি কার্ড নো ভোট' বলতে গিয়েছিলাম সংসদে। ১৯২১ সালে আমার ১৩ জন কর্মী মারা গিয়েছিল গুলিতে। তারপর থেকে লড়তে লড়তে এসে ওটা আমরা করেছিলাম।''


আরও পড়ুন- Exclusive: মমতাকে বিঁধতে 'মেরুকরণ' হাতিয়ারে একাধিক কর্মসূচি বিজেপির