নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কেন রোহিঙ্গা ও অহমদিয়া মুসলিমদের রাখা হয়নি? প্রশ্ন তুললেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। তাঁর কথায়, মায়ানমারে রোহিঙ্গা ও পাকিস্তানে অহমদিয়া মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার। পড়শি দেশগুলিতে নির্যাতিতদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তিত, অথচ নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে রোহিঙ্গা ও অহমদিয়াদের রাখা হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে 'বিভাজনকারী ও বৈষম্য়মূলক' আখ্যা দিয়েছেন কারাট। তিনি বলেন, ''দেশের সংবিধানকে দুর্বল করার জন্য় বহিরাগত শক্তির দরকার নেই। কেন্দ্রীয় সরকারই সংবিধানকে দুর্বল ও দেশভাগ করছে।'' কারাটের দাবি, ১৯৫০ সালে দেশের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিল আরএসএস। তাঁর কথায়,''বিআর আম্বেদকরের সংবিধানকে স্বাগত জানিয়েছিল গোটা দেশ। শুধুমাত্র আরএসএস আপত্তি করেছিল।'' বৃন্দার কটাক্ষ, ওরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ নয়, রাষ্ট্রীয় সর্বনাশ সঙ্ঘ। 


ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে নাগরিকপঞ্জি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সভায় হাজির হন বৃন্দা কারাট। ওই সভাস্থলকে রায়পুরের শাহিনবাগ বলছেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে এদিন সিপিএম নেত্রী বলেন, ''নির্যাতিতদের আশ্রয় দিতে চাই আমরা। কিন্তু শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নির্যাতিতদের কেন? নেপাল, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার অত্যাচারিতেদর কেন নয়? শ্রীলঙ্কার এক লক্ষ তামিল উদ্বাস্তু থাকেন ভারতে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের রাখা হয়নি নাগরিকত্ব আইনে? মায়ানমার ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেন আপনাদের ভাবনা নেই? কেন তাঁদের রাখা হয়নি আইনে? তাঁরা হিন্দু নয় বলেই কি রাখা হয়নি? নির্যাতিতদের নিয়ে আপনাদের চিন্তা নেই, আসলে নিম্ন মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন।'' 


বৃন্দা আরও বলেন,''বেছে বেছে কয়েকটি সম্প্রদায়কে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের মুসলিমরা নয়, বরং গোটা দেশ সমস্যায় পড়বে। আরএসএস ও বিজেপি গোটা দেশে সিএএ চালু করে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে।'' প্রশ্ন উঠছে, তাহলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে রোহিঙ্গা ও অহমদিয়া মুসলিমদের রাখা হলে কি সিপিএম বিরোধিতা করত না? 


আরও পড়ুন- ট্রেনে 'মহাকাল'-এর নামে সংরক্ষিত আসন, মোদীকে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মনে করালেন ওয়াইসি