`বুনো ওল` হলে `বাঘা তেঁতুল` মোদী-শাহ, রাজ্যকে এড়িয়ে নাগরিকত্বদানের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা মনে করেন,``নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতেই হবে রাজ্যগুলিকে। তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।``
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কেরলের বিধানসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বাতিলের প্রস্তাব। অবিজেপি রাজ্যগুলিও নতুন আইন নিয়ে এমনই মনোভাব দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে এড়িয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
বর্তমান ব্যবস্থায় দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে হয় জেলাশাসককে। এই ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সেটাই তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক অফিসারের কথায়,''জেলাশাসকের পরিবর্তে গোটা ব্যবস্থাই অনলাইনে করার কথা ভাবা হচ্ছে। আবেদনপ্রক্রিয়া, নথির পরীক্ষা ও নাগরিকত্ব দান অনলাইনেই হয়ে যাবে।'' কোনওস্তরেই রাজ্যের হস্তক্ষেপ থাকবে না।
এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা মনে করেন,''নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতেই হবে রাজ্যগুলিকে। তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।'' যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ৯৭টি বিষয়ে রাজ্যের কোনও হাত থাকে না। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশ, রেল, প্রতিরক্ষা ও নাগরিকত্বের মতো বিষয়।
মঙ্গলবার কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বলেছেন, ''দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও কাঠামোর বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এর ফলে নাগরিকত্বদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। ভারতের সংবিধানের মূল্যবোধ ও আদর্শের পরিপন্থী আইন। '' রাজ্যের বিধানসভা দেশের আইন বাতিল করতে পারে না বলে পাল্টা জানান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। তিরুঅনন্তপুরমে রবিশঙ্কর প্রসাদ মন্তব্য করেন,''নাগরিকত্ব নিয়ে আইনের পাসের ক্ষমতা রয়েছে কেবল সংসদের, কেরল-সহ ও অন্যান্য রাজ্যের নয়। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে আরও একবার বলব, ঠিকঠাক আইনি পরামর্শ নিন।''