নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিল করে প্রস্তাব পাস হল কেরলের বিধানসভায়। কেরলের বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাস করাতে সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। বিরোধিতা করেছেন একমাত্র বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজাগোপাল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। তাঁদের রাজ্য CAA কার্যকর হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মঙ্গলবার কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও  বুননের বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এর ফলে নাগরিকত্বদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বৈষম্য তৈরি হয়েছে।'' কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''ভারতের সংবিধানের মূল্যবোধ ও আদর্শের পরিপন্থী আইন।  দেশের মানুষের আশঙ্কার কথা ভেবে আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত কেন্দ্রের। এবং দেশের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা দরকার।''


নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ চলেছে। CAA বিরোধী বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক মহলের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলেও দাবি করেন বিজয়ন। বিধানসভায় তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কেরলে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করতে দেবেন না।                                                    
          


গত ২৯ ডিসেম্বর সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ওই বৈঠকে তাঁকে বিশেষ অধিবেশন ডেকে প্রস্তাব আনার দাবি করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট। স্বাভাবিকভাবেই এদিন সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও তাদের শরিকরা। তবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন একমাত্র বিজেপি বিধায়ক ও রাজাগোপাল। 


আরও পড়ুন- দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে