নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে উত্তাল যোগীর রাজ্য। পুলিসের গুলিতে হত কমপক্ষে ১৫।  জখম আরও অনেকে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বেচে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই মতো পাঠানো হয়েছে নোটিস। যোগী সরকারের এমন আচরণ নিয়ে দেশজুড়ে উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীর হয়েই বুধবার কার্যত সওয়াল করলেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন,''নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।'' নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, কানপুর ও মেরঠের মতো শহর। মারা গিয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, সম্ভাল, মুজফফরনগর, কানপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে প্রথমে গুলি চালানোর খবর অস্বীকার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। পরে অবস্থান বদল করে তারা। নাগরিকদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এমন পদক্ষেপে উঠছে প্রশ্ন। বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু, ঘুরিয়ে যোগীর পাশেই দাঁড়ালেন মোদী। বলেন,''নিরাপদ পরিবেশ আমাদের আধিকার।  নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর আমরা নিজেদের অধিকার চেয়েছি। কিন্তু এবার নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।'' কিন্তু বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিসি ব্যবস্থা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করলেন না প্রধানমন্ত্রী।



প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,''উত্তরপ্রদেশে যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের বলতে চাই, ঘরে বসে আত্মসমালোচনা করুন। তাদের আচরণ ঠিক না ভুল, তা ভেবে দেখুন। বাস ও সরকারি সম্পত্তি  ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলি সব আগামী প্রজন্মের।''    



প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,''রাম জন্মভূমির মতো বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ পুরনো ব্যমো। তার অবসান করে দায়িত্ব পালন করেছি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শরণার্থীদের নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার পথ পেয়েছে ১৩০ কোটি ভারতীয়।''


আরও পড়ুন- সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে পাল্টা ব্যবস্থা, ২৮ বিক্ষোভকারীকে ১৪ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ-নোটিস আদিত্যনাথের