নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিবাদের নামে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট ঠিক না ভুল? উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস অনুষ্ঠান বিক্ষোভকারীদের আত্মসমালোচনার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে বিক্ষোভকারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মোদী বলেছিলেন, ''পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা কারা করছে। এর থেকে স্পষ্ট আইন এনে ভুল করেনি মোদী ও সংসদ।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি মন্ত্রিসভায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এনআরসি হয়েছে অসমে। প্রধানমন্ত্রীই সঠিক বলছেন বলে গতকাল, মঙ্গলবার এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে স্পষ্ট করেন অমিত শাহ। লখনৌ আবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হিংসায় লাগাম দেওয়ার চেষ্টা করলেন মোদী। দিলেন আত্মসমালোচনার বার্তা। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,''উত্তরপ্রদেশে যারা হিংসা ছড়িয়েছে, তাদের বলতে চাই, ঘরে বসে আত্মসমালোচনা করুন। তাদের আচরণ ঠিক না ভুল, তা ভেবে দেখুন। বাস ও সরকারি সম্পত্তি  ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলি সব আগামী প্রজন্মের।''          



এর পাশাপাশি যোগীর প্রশাসনের পাশেও কার্যত দাঁড়িয়েছেন মোদী। বলেন, ''নিরাপদ পরিবেশ আমাদের আধিকার।  নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর আমরা নিজেদের অধিকার চেয়েছি। কিন্তু এবার নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।'' 



অতিসম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ''কারা বিক্ষোভ করছে, সেটা পোশাক দেখে সহজেই আপনারা বুঝতে পারবেন। টিভিতে ছবি দেখতে পাচ্ছি। ওদের পোশাক থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা আমাদের বিরোধীরা সব কিছুকেই সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ এসব ছবি দেখে বুঝতে পারছেন, দেশকে বাঁচিয়েছে মোদী ও সংসদ।'' অনেকেই মনে করে, মেরুকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছেন। মোদীর মন্তব্যে সায় দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তাতে বিজেপির উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু রবিবার এনআরসি নিয়ে ব্যাখ্যার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অনেকটাই চাপে পড়ে। কারণ দেশজুড়ে যেভাবে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে, তাতে আশঙ্কিত কেন্দ্রের শাসক দল। সেই বিক্ষোভ প্রশমনেই কৌশল বদল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।


এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,''রাম জন্মভূমির মতো বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ পুরনো ব্যমো। তার অবসান করে দায়িত্ব পালন করেছি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শরণার্থীদের নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার পথ পেয়েছে ১৩০ কোটি ভারতীয়।''


আরও পড়ুন- মোদীর জমানায় ডিটেনশন ক্যাম্প হয়নি, কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুললেন অমিত