নিজস্ব প্রতিবেদন: মরাঠা অস্মিতার আঁচ টের পেলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ঐতিহ্যবাহী পান্দাপুর মন্দিরে ভিট্টলের 'মহাপুজো'য় অংশ নিচ্ছেন না তিনি। সংরক্ষণের দাবিতে মরাঠা সংগঠনগুলি মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সেই কারণে কর্মসূচি বাতিল করলেন ফড়ণবীস।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিবছর আষাঢ়ের একাদশীতে পান্দারপুরে ভিট্টলের 'মহাপুজো'য় ভিড় জমান লক্ষাধিক ভক্ত। ওই উত্সবেই অংশ নেওয়ার কথা ছিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর। তবে মরাঠার সংগঠনগুলির হুঁশিয়ারির মুখে ঝুঁকি নিতে চাননি দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তিনি বলেন,''৭০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুজো। গত ৩ বছর ধরে আমি পুজো দিতে যাচ্ছি। কয়েকটি সংগঠন প্রতিবাদ করছে। আমার জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে, কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু ১০ লক্ষ পুণ্যার্থীর নিরাপত্তা বিঘ্নের কারণ হব না। প্রাণহানির মতো ঘটনায় মহারাষ্ট্রের সম্মান নষ্ট হতে পারে। সে জন্য পুজোয় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি''। 



কয়েকটি মরাঠা সংগঠন দাবি করেছে, মহারাষ্ট্রে সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৭২,০০০ সরকারি পদে নিয়োগ বন্ধ রাখা হোক। সেই দাবি মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মরাঠি সংগঠনগুলি। মরাঠাদের সংরক্ষণ দিতে তিনি বদ্ধপরিকর বলে এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফড়ণবীসের কথায়, ''এব্যাপারে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মামলাটি হাইকোর্টের বিচারাধীন। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিয়ে সামাজিক বিভাজন তৈরি করতে চাইছে কয়েকটি সংগঠন''। 



২০১৬ সালে মরাঠাদের সংরক্ষণের দাবিতে মরাঠা ক্রান্তি মোর্চা শুরু করে মরাঠি সম্প্রদায়। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্নক বিক্ষোভও দেখায় আন্দোলনকারীরা। মরাঠাদের পাল্টা আবার 'বহুজন ক্রান্তি মোর্চা' তৈরি করেছে দলিত ও অমরাঠিরা।    


আরও পড়ুন- মোদী সরকারের শেষের শুরু, অনাস্থা খারিজের পর ভোকাল টনিক সনিয়ার