নিজস্ব প্রতিবেদন- নরকের আরেক নাম উত্তরপ্রদেশ। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ধর্ষকরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অলিতে গলিতে মুখোশধারী ধর্ষক। সুযোগ পেলেই তাদের দাঁত-নখ বেরিয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে মেয়েদের দেখলে তাদের লালসার জীব একহাত বাইরে বেরিয়ে আসে। তাদের লালসার শিকার হয় নিরপরাধ মেয়েরা। পুলিস প্রশাসন তামাশা দেখে। পরোক্ষভাবে ধর্ষণকেই যেন সমর্থন যুগিয়ে যায়। নৃশংসভাবে নির্যাতন করে গণধর্ষণ। তারপর নির্মম মৃত্যু। এরপরও হাথরস কাণ্ডে নির্যাতিতার যেন রেহাই হল না। পুলিস প্রশাসন তাঁর নিথর দেহটিকেও যথার্থ সম্মান দিতে ব্যর্থ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ চুপিসারে সৎকার করে দিয়েছিল পুলিস। বাড়ির অদূরে চাষের জমিতে দাহ করে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ। শেষ যাত্রাতেও পরিজনরা পাশে থাকতে পারলেন না। শোকে কাতর সন্তানহারা পরিবারের কাউকে জানতেও দেয়নি পুলিস। নির্যাতিতার পরিবারকে সহ্য করতে হয়েছে একের পর এক অপমান ও জুলুম। তবে সারা দেশ একজোট হয়েছে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। হাথরাসের নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি চেয়ে সোচ্চার হয়েছে দেশবাসী। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। যোগী রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের জুটছে নিন্দা, ঘেন্না, ধিক্কার। 


আরও পড়ুন-  রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশা চেপে মেয়ে ফিরল বাড়িতে, শেষ রক্ষা হল না, উত্তরপ্রদেশ যেন নরক!



হাথরাসের গণধর্ষণকাণ্ডে গোটা দেশের মতো স্তম্বিত, বাকরুদ্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পৈশাচিক ঘটনার নিন্দায় তিনিও সরব হয়েছেন। এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ''এমন নারকীয় ও বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা করার জন্য কোনও ভাষাযই হয়তো যথেষ্ট নয়। মেয়েটির পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মেয়েটিকে কী অসহনীয় নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে! সব থেকে লজ্জাজনক ঘটনা হল, পরিবারের কারোর উপস্থিতি ছাড়াই পুলিস প্রশাসন মেয়েটির জোর করে সৎকার করল! যারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের জন্য গলা ফাটায়, এই ঘটনা তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে গেল।''