নিজস্ব প্রতিবেদন: মা-বোনের সম্মানরক্ষায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার কয়েক ঘণ্টা পর পদক্ষেপ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাথরসকাণ্ডে পুলিস সুপার-সহ আরও ৩ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। শুক্রবার রাতে বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরসকাণ্ডে যোগীকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। এমন প্রেক্ষাপটে টুইট করে যোগী আদিত্যনাথ জানান, মহিলাদের সম্মানরক্ষায় দায়বদ্ধ তাঁর সরকার। সিটের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে হাথরসের পুলিস সুপার বিক্রান্ত বীরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার। বিক্রান্ত ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন সার্কেল অফিসার রাম শব্দ, ইনস্পেক্টর দীনেশ কুমার বর্মা, সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর জগবীর সিং ও হেড কনস্টেবল মহেশ পাল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার সত্যতা জানতে ৪ পুলিস আধিকারিক ও মৃত তরুণীর পরিবারের লোকজনের নার্কো টেস্ট করা হবে। 


এদিন যোগী আদিত্যনাথ টুইটারে লেখেন, ''উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেরা সম্মানহানি করার চিন্তা রাখলেও সমূলে নাশ করা হবে। এমন শান্তি দেওয়া হবে যে নজির হয়ে থাকবে ভবিষ্যতে। আপনাদের উত্তরপ্রদেশ সরকার মা-বোনেদের সম্মানরক্ষায় সংকল্পবদ্ধ। এটা আমার সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি।''    



হাথরসকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা ও সুবিচার চেয়ে দিল্লির যন্তরমন্তরে এদিন বিক্ষোভ দেখায় চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম আর্মি। প্রতিবাদে সামিল হন অরবিন্দ কেজরীবাল, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার মতো বিরোধী নেতানেত্রীরাও। দেখা গেল স্বরা ভাস্করকেও। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,''এই ঘটনার পর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের। আমরা সুবিচার চাইছি।''     


  আরও পড়ুন-