Kobra in BJP Office: হাজির খোদ মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির পার্টি অফিসে বেরিয়ে পড়ল বিশাল কেউটে
মানুষ কেন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে? মমতা বলেন, মানুষ কেন ওদের ভোটে দেবে? সবাইকে তদন্ত এজেন্সিগুলির মুখোমুখি হতে হয়েছে। যারা ক্রিমন্যাল তাদের নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। সংবাদমাধ্যমকে বলছে কোনটা দেখাতে হবে, কোনটা নয়। সাংবাদিকদের জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হলে এভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খোদ মুখ্যমন্ত্রী তখন পার্টি অফিসে। সেই সময় আতঙ্ক ছড়াল গোটা অফিসজুড়ে। কারণ পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে এল কেউটে সাপ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে উপস্থিত সেখানে কীভাবে এমন নিরাপত্তায় গাফিলতি? প্রশ্ন উঠছে রাজ্য প্রশাসনে। তবে সাপটিকে শেষপর্যন্ত ধরেফেলা হয়।
আরও পড়ুন-ওদের এই দোষেই নো ভোট টু বিজেপি হয়েছে কর্নাটকে! ভরাডুবির কী ব্যাখ্যা দিলেন মমতা?
গত বুধবার কর্নাটকের সিগগাঁওয়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ সিদ্দারামাইয়া। সেইসময় পার্টি অফিসে থেকে বেরিয়ে পড়ে একটি বড়সড় কেউটে সাপ। সেটিকে দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গোটা অফিসে। সিঁড়ির কাছ দিয়ে ঘুরে সাপটি সামনের লনের ঘাসে ঢুকে পড়ে। সেটিকে ধরতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত সাপটিকে ধরে ফেলেন এক পুলিসকর্মী। তারপর সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, আজ কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। গণনা এখনও শেষ হয়নি। এখনওপর্যন্ত কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৩৪ আসনে। বিজেপি জিতেছে ৬৪ আসনে। অন্যদিকে, ডেজিএস ১৯ আসনে ও অন্যান্যরা ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। ২২৪ আসেন কর্নাটক বিধাসভায় এখন কংগ্রেসের সরকার গঠনে আর বাধা রইল না। এক সংখ্য়া গরিষ্ঠতা অনেক আগেই পার করে গিয়েছে হাত শিবির।
কংগ্রেসের জয়ের খবরে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে কংগ্রেসকে স্বাগতও জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এই ফল নিয়ে মমতা আজ বলেন, ওদের ঔ্ধত্য,অহংকার, এজেন্সি রাজনীতির বিরুদ্ধে নো ভোট টু বিজেপি হয়েছে। কর্নাটকের মানুষকে স্যালুট করি। কুমারস্বামীজিও ভালো করেছেন। ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশেও ভোট হবে। আমি মনে করি ওই দুই জায়গাতেও বিজেপি হারবে। বিজেপির শেষের শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী রাজের অত্য়াচার রয়েছে। মানুষ সেখানে সন্ত্রস্ত। বিরোধীরা সেখানে দুর্বল। দক্ষিণের দিকে তাকালে কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ুতে তারা নেই।
মানুষ কেন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে? মমতা বলেন, মানুষ কেন ওদের ভোটে দেবে? সবাইকে তদন্ত এজেন্সিগুলির মুখোমুখি হতে হয়েছে। যারা ক্রিমন্যাল তাদের নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। সংবাদমাধ্যমকে বলছে কোনটা দেখাতে হবে, কোনটা নয়। সাংবাদিকদের জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তব হলে এভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ওদের একজনই শাসক, একটাই নীতি, একটাই উদ্দেশ্য। এটা মানুষ মেনে নেবে না। তাই বাংলা যে পথ দেখিয়েছিল, বেঙ্গল থেকে বেঙ্গালুরু মানুষ যে রায় দিয়েছে তাতে বোঝা গিয়েছে ইমেজ বলে কিছু হয় না, যতই সাজো। আগামী নির্বাচনগুলিতে বিজেপির হার একবারে নিশ্চিত। দেশের দু-একটা জায়গা ছাড়া বিজেপির আর জেতার জায়গা নেই। এখন মানুষ বদল চাইছে। দেশকে বাঁচাতে গেলে এখন স্লোগান হল বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।