ওয়েব ডেস্ক : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এক যুবক। এই ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত। কিন্তু তারপর? আদৌ কী সঠিক বিচার পেল নির্যাতিতা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি মুম্বই সংলগ্ন বরিভলির। বছর ১৪-র ওই নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় এলাকারই এক যুবকের। অভিযোগ, তাকে বিয়ে করার লোভ দেখায় ওই যুবক। ফুসলিয়ে তাকে ধর্ষণও করে। কিন্তু, তারপরই তাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনার পর গত বছর অভিযুক্তের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত যুবক। মামলাও ওঠে আদালতে। এদিকে, অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই ওই নাবালিকা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আর্জি জানায়। কিন্তু, প্রথমটায় মহারাষ্ট্র সরকার তার আর্জিতে কর্ণপাত করেনি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। পরে মামলা আদালতে ওঠার পর প্রথম দফায় এক লাখ টাকা দেওয়া হয় তাকে। পরে আরও এক লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- আমেরিকা, কানাডা ও রাশিয়াকে পিছনে ফেলে দিল 'একা মুম্বই'!


আজ বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জি এস কুলকর্নির ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানে বিচারকদের তিরষ্কারের সম্মুখীন হয় সরকার। বিচারপতি চেল্লুরের বক্তব্য, মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করছে। কারণ তারা নির্যাতিতাকে অভিযোগ দায়ের করার ১৫ দিনের মধ্যে তার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের তিন লাখ টাকা দেয়নি। শুধু তাই নয়, এখানে মহিলাদের অধিকার খর্ব করারও চেষ্টা করা হয়েছে। আদালতের তরফে আজ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, 'কোনওভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার ব্যক্তিকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া দয়া করা হয়, বরং অধিকার পাইয়ে দেওয়া।'