নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন বসন্তেই কালবৈশাখী! ত্রিপুরার রায়ে ক্ষমতা থেকে একেবারে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ল ২৫ বছরের সর্বহারার সরকার। চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক জিতলেন বটে, তবে গো হারা হারল তাঁর দল। অন্যদিকে, শূন্য থেকে একেবারে সিংহাসনে চেপে বসল ৪৯ বছর বয়সী বিপ্লব। 'চলো পাল্টাই' বলে শুরু করেছিলেন, আর পাল্টিয়েই ছাড়লেন। ভূমিপুত্রের হাত ধরেই প্রথমবার গেরুয়া বিপ্লব দেখল ত্রিপুরা। বানরসেনার লঙ্কা জয়ের কথা যারা মানেন, তাঁরাও এটা বিশ্বাস করতে গিয়ে ঢোক গিলছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি জোট ৪৩, আর বামেরা ১৬। এমনকী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হল, যার আগাম পূর্বাভাসই পেল না উত্তর-পূর্বের লালফৌজ! হারের পর এনডিটিভি-কে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে 'বিস্ময়প্রকাশ' করলেন খোদ মানিক সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফটো গ্যালারি- 'তরুণ' হতে চায় সিপিএম!


ক্ষমতা খুইয়ে ত্রিপুরার চার বারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, "একেবারেই অপ্রত্যাশিত (এবারের ফলাফল)। আমরা এই ফলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।" এরপরই তাত্ত্বিক লাইনে হেঁটে, ৬৯ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান বাম নেতা বলেন, "সম্পূর্ণ ফলাফল হাতে না পেয়ে বিচার করা ঠিক হবে না। আমরা অপেক্ষা করছি, সম্পূর্ণ তথ্য হাতে পেলেই হার নিয়ে পর্যালোচনা করব।" 


আরও পড়ুন- ‘বিমান’ উড়বেই, ‘রেড রোডে’ সম্ভবত নেই গৌতম, দীপক, মদন


শনিবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর, সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারম ইয়েচুরি অভিযোগ করেছিলেন, "বিজেপি টাকার জোরে ভোট জিতেছে"। এদিন ইয়েচুরি বিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত মানিকও হাঁটলেন সেই পথেই। হারের ময়নাতদন্তে 'বিজেপির কারসাজি'কে দায়ী করেছেন মানিক সরকার। 


আরও পড়ুন- তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা মমতার! ২০১৯ নির্বাচনে অবিজেপি জোট জল্পনা তুঙ্গে


যদিও এই সমস্ত অভিযোগই ফুৎকারে উড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ঈশান-কোণে বিজয়কেতন উড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে বিজেপি সভাপতির মুখে। তাঁর কথায়, "নো ওয়ান থেকে নম্বর ওয়ান হয়েই থামবে না বিজেপি। কেরল, কর্ণাটক, ওড়িশা আর বাংলা জিতেই থামবে এই অশ্বমেধ।" একই সুরে সুর মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেন, এই জয় আর পাঁচটা জয়ের মত নয়। এটা ঐতিহাসিক জয়।