নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোপাল কেন্দ্রে বিজেপির হিন্দুত্বের মুখ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে টক্কর দিতে শেষমেশ সাধুদের কাছে দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। জয় নিশ্চিত করতে বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করেছেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানের পৌরহিত্যে জনপ্রিয় সাধু নামদেও দাস ত্যাগি ওরফে কম্পিউটার বাবা। যিনি আবার কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশের নদী সংক্রান্ত অছি পরিষদের প্রধানও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কম্পিউটার চালনায় তুখোর, হেলিকপ্টার ছাড়া যাতায়াত করেন না। অনায়াসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন তিনি। সে কারণেই ‘কম্পিউটার বাবা’ হিসাবে বিখ্যাত। ২০১৪ সালে ‘পিকে’ সিনেমা ব্যান করা নিয়ে সরব হন তিনি। এরপরই  কম্পিউটার বাবা রাজনৈতিক মহলে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদ দেওয়া হয় তাঁকে। তবে, বিজেপির সঙ্গে সখ্য বেশিদিন টেকেনি। শিবরাজ আলাদা করে গোমন্ত্রক তৈরি করলে সেখানে জায়গা না মেলায় ইস্তফা দেন প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে।



ভোপালের বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর নিজেকে হিন্দুত্বের মুখ বলে মনে করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী পরিবর্তে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করে বিজেপি। প্রথম থেকেই চড়া দাগের প্রচার চালিয়ে কমিশনের রোষের মুখে পড়েন প্রজ্ঞা। তাঁকে টক্কর দিতে দিগ্বিজয়ও ‘হিন্দুত্বের’ শরণে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কম্পিউটার বাবা বলেন, “গত পাঁচ বছরে রামমন্দির তৈরি করতে পারেননি মোদী। মন্দির নয় তো মোদী-ও নয়।” প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকেও এক হাত নিয়ে কম্পিউটার বাবার তোপ, “যাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ, খুনের অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিসের সাধ্বী।”


আরও পড়ুন- পুরনো রায়ই বহাল, বিরোধীদের ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের আর্জি নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট


জানা যাচ্ছে, ভোপালের সৈফিয়া কলেজে বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হটযোগ, ভজন, কীর্তন নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পরিবেশন হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার সাধু যোগ দিচ্ছেন।