ওয়েব ডেস্ক: নোটকান্ডে যখন সরকার ও বিরোধী যুযুধান দুপক্ষ, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। অরুনাচলের জলবিদ্যুত প্রকল্পে ৪৫০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ কিরেণ রিজিজুর বিরুদ্ধে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে নোট বাতিলের মত এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অস্ত্রেই কেন্দ্রকে ঘায়েল করতে ময়দানে কংগ্রেস। টার্গেট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। অরুণাচল প্রদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা NEEPCO- র অধীনে কামেং জলবিদ্যুত্‍ প্রকল্পের ২টি বাঁধ তৈরির কাজ চলছে প্রকল্পের কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেন NEEPCO-র চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার সতীশ বর্মা।


প্রকল্পে ঠিকাদারির বরাত পান কিরেণ রিজিজুর আত্মীয় গোবই রিজিজু। চিফ ভিজিল্যান্স অফিসারের রিপোর্টে গোবই রিজিজু এবং NEEPCO-র কয়েকজন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। CBI দু-বার ঘটনাস্থলে গেলেও কোনও FIR হয়নি। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেন সতীশ বর্মা। অভিযোগ, প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্‍মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে চিঠি দেন কিরেণ রিজিজু।


একটি অডিও টেপ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম করে সতীশ শর্মার ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন মন্ত্রীর আত্মীয় গোবই। সেই কথোপকথনই ওই টেপে ধরা পড়েছে। রিজিজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কার্যত প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করেছে কংগ্রেস। পাল্টা তোপ দেগেছেন রিজিজুও।


আরও পড়ুন-রাহুল গান্ধীর নিশানায় ফের মোদী


অনিয়মের অভিযোগ তোলার পরই ভিজিল্যান্স অফিসারের পদ থেকে বদলি করা হয় সতীশ বর্মাকে। এর আগেও সংঘাতে জড়িয়েছেন গুজরাটের এই IPS অফিসার। ২০০৪ সালে ইসরাত জাহান সংঘর্ষ মামলায় SIT-এর সদস্য ছিলেন সতীশ বর্মা। ইসরাতের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন তিনি।


আরও পড়ুন- কালো টাকা সাদা করার কারবারে এবার ধৃত উচ্চপদস্থ RBI আধিকারিক!