ওয়েব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শকেই গুরুত্ব দিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে।  AAP ঝড়ে খুইয়েছেন কুর্সি। ঝাঁটার ঝড়ে দিল্লি থেকে উবে গিয়েছে কংগ্রেস। তাঁর পরও উত্তরপ্রদেশে তাঁর ওপরেই ভরসা রাখল হাইকমান্ড। কারণ জাতের রাজনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশে কোনও ব্রাহ্মণ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী  প্রার্থী করার পরামর্শ দেন ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। ৭৮ বছরের শীলার পঞ্জাবের ক্ষেত্রী পরিবারে জন্ম, উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা উমাশঙ্কর দীক্ষিতের তিনি পুত্রবধূ। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রচারের মুখ আমেঠি রাজ পরিবারের ঠাকুর নেতা সঞ্জয় সিং। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি অভিনেতা রাজ বব্বর, জাতিগত দিক দিয়ে তিনি OBC শ্রেণীর মুসলিম।


শীলা দীক্ষিতের জমানায় পরিকাঠামোগতভাবে ব্যাপক উন্নতি হয় দিল্লির।  কংগ্রেস সূত্রে খবর, দশ জনপথ ঘনিষ্ঠ নেত্রীর সেই সুনামকেই কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের  সিংহভাগ আসন নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। সেই মোদীঝড় এখন স্তিমিত। বিজেপির নির্ভরযোগ্য উচ্চবর্ণের ভোটব্যাঙ্কেই এখন থাবা বসাতে চায় কংগ্রেস। যদিও তাতে বিশেষ আমল দিচ্ছে না বিজেপি। তাদের মতে শীলা ইতিমধ্যেই রিটায়ার্ড লিডার।


উচ্চবর্ণের ভোট পেতেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ব্রাহ্মণ মুখ শীলাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। যদিও প্রশান্ত কিশোরের সব পরামর্শ মানেনি হাইকমান্ড। ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট পরামর্শ দেন, রাহুল গান্ধী কিংবা প্রিয়ঙ্কা বঢরাকে উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করার। দুই পরামর্শই সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছে দশ জনপথ।