নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচনে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার পরই পরবর্তী কৌশল স্থির করে ফেলল উজ্জীবিত কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগঢ়ে বিধানসভা ভোটে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। জি নিউজ সূত্রে খবর, তিনটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে জোট করতে চলেছে কংগ্রেস। দলিত নেত্রীকে নিয়ে অন্ত্যজ শ্রেণির ভোট টানাই লক্ষ্য রাহুল গান্ধীর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, দলিত ভোট পকেটে পুরতে মায়াবতীর সঙ্গে রফা করছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে বসপাকে ৩০টি আসন ছাড়তে পারে তারা। রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ে এখনও পর্যন্ত আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তরপ্রদেশের বাইরে নিজের সংগঠন মজবুত করতে চাইছে বসপা। কর্ণাটকে জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি আসন পেয়েছে তারা। অন্যদিকে, মোদী-শাহকে রুখতে মরিয়া কংগ্রেসও। ফলে দুপক্ষেরই গরজ রয়েছে। কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মায়া-সনিয়ার উষ্ণতা কারও নজর এড়ায়নি। বুয়া-মায়ের পাশে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকেও। 


তিনটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গতসপ্তাহেই দিল্লিতে কৌশলী বৈঠক করেছেন মায়াবতী। উপনির্বাচনে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর কংগ্রেস-বসপা জোটের তদ্বির যে আরও গতি পেয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। লোকসভার আগে বিজেপির আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে তিনটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করছে কংগ্রেস। মায়াবতীর দলিত ভোট পাশে পেলে সেই কাজ আরও সোজা হতে পারে বলে মনে করছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের আগে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের মঞ্চও আরও শক্তিশালী হবে। কংগ্রেসের এই উদ্যোগে প্রত্যাশিতভাবেই চাপ বাড়াবে বিজেপির। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, রাজস্থানে দলীয় কোন্দলে দীর্ণ বসুন্ধরা রাজে সরকার। সেখানে আশানুরূপ ফল হওয়া কঠিন। মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া।এই পরিস্থিতিতে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়ছে চলেছে মোদী-শাহ জুটি। 


আরও পড়ুন- নয়ডার 'অভিশাপ' থেকে কি বাঁচতে পারলেন না যোগীও?