ওয়েব ডেস্ক : আমন্ত্রণ ছিল ষোলোজনের। শেষপর্যন্ত হাজির আট। কংগ্রেসের ডাকে নয়াদিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠক মুখ থুবড়ে পড়ল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাহুল গান্ধীর পাশে দেখা গেল না কোনও হেভিওয়েট নেতাকে। রাজনৈতিক মহল বলছে,আজকের বৈঠক, ফ্লপ শো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এযেন ছিল বেড়াল হল রুমাল। নোটবন্দি ইস্যুতে মোদীকে ঘিরতে ১৬টি বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। কিন্তু, সোনিয়ার ডাকে শেষপর্যন্ত সাড়া দিল আটটি দল। BSP,AIADMK,NCP  আগেই না বলেছিল। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখে বৈঠকে যোগ দেয়নি JDU। ছিল না সমাজবাদী পার্টিও। কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সাড়া দিল তৃণমূল কংগ্রেস,DMK, RJD,JMM,JDS,AIUDF ,IUML। একমাত্র হেভিওয়েট মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে পাশে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন রাহুল। মান বাঁচাতে শুরুতেই বাকিদের না থাকার সাফাই গাইতে হল কংগ্রেস সহ সভাপতিকে। কিন্তু, আলোচনা কী হল? তা নিয়ে স্পিকটি নট কংগ্রেস সভাপতি। মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির পুরনো অভিযোগই ফের একবার তুললেন রাহুল।


ড্যামেজ কন্ট্রোলের আসরে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ঘোষণা করলেন আগামিদিনে মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়েছে সবকটি বিরোধী দল। যাঁরা বৈঠকে নেই কথা হয়েছে তাঁদের সঙ্গেও। কিন্তু, সেই অভিন্ন কর্মসূচির রূপরেখা কি? বলতে পারলেন না রাহুলও। নোটবন্দিতে দুর্ভোগে আমজনতা। আর তার জন্য দায়ী মোদী। বিরোধীদের দাবি, ৩০ ডিসেম্বরের পর গদি ছাড়তে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গদিতে আসীন মোদী কি তা করবেন? যদি না করেন তাহলে প্ল্যান বি কি? তারও উত্তর নেই। না হল ভবিষ্যত আন্দোলনের পথনির্দেশ, না মোদী বিরোধিতা নয়া ইনিংস। রাজনৈতিক মহল বলছে কংগ্রেসের এদিনের বৈঠক আগাগোড়া ফ্লপ শো।


আরও পড়ুন, ফের CBI রাডারে তৃণমূলের দুই সাংসদ