নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে বিজেপি-জেডিইউ সমীকরণ নিয়ে নানা জল্পনার মাঝে সলতে পাকাতে শুরু করেছে মহাজোট। ২০১৯ সালে মোদী-নীতীশকে হারাতে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির উপরেই বাজি রাখছে কংগ্রেস। আরজেডি-কংগ্রেসের সম্ভাব্য শরিক এনসিপি, হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা, বাম ও সমাজবাদী নেতা শরদ যাদব। এতগুলি শরিক হওয়ায় আসন সমঝোতা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। আরজেডির কাছে বেশি আসনের দাবি করেছে রাহুল গান্ধীর দল। তবে তাদের অতীত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেই দাবি মানতে নারাজ আরজেডি। সূত্রের খবর, মহাজোটে বেগুসরাই থেকে বামপ্রার্থী হতে পারেন কানহাইয়া কুমার।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোপনেই আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে আরজেডি, কংগ্রেস ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির দল এইচএএম। গত সপ্তাহে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন  এইচএএম সভাপতি দানিশ রিজওয়ান। ১২ জুলাই পটনায় লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদবও। সূত্রের খবর, মহাজোটে আসতে চলেছে বিজেপির সঙ্গী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়ার দল আরএলএসপি। 


সূত্রের খবর, বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে অর্ধেক অর্থাত্ ২০টি আসন দাবি করতে চলেছে আরজেডি। কংগ্রেস পেতে পারে ১০টি। আরএলএসপি ও এইচএএমে ঝুলিতে যেতে পারে ৪টি করে আসন। মাধেপুরা আসনে আরজেডির টিকিটে নিজের ছেলেকে দাঁড় করাতে পারেন নীতীশের প্রাক্তন সঙ্গী সমাজবাদী নেতা শরদ যাদব।নিজের শহর বেগুসরাই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী হতে পারেন জেএনইউ-র ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। কাটিহার থেকে ফের প্রার্থী হতে পারেন এনসিপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আনওয়ার।   


তবে আসন বণ্টন নিয়ে বিজেপির মতোই অবস্থা কংগ্রেসের। আরজেডিকে বেশি আসন ছাড়তে চাইছে না রাহুল গান্ধীর দল। কংগ্রেসের দাবি, গতবারের চেয়ে দলের শক্তি বেড়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ২৭টি আসনে লড়াই করেছিল আরজেডি। ১২টি আসন কংগ্রেসকে ও একটি আসন এনসিপি-কে ছেড়েছিল তারা। এবার সেই অঙ্ক মেনে আসন বণ্টন সম্ভব নয়। কারণ বাম, এনসিপি, এইচএএম ও আরএলএসপি সম্ভাব্য মহাজোটে যুক্ত হতে চলেছে। গতবার দুটি আসন জিতেছিল আরজেডি। সেই দুটির মধ্যে একটি আসনে জেতা প্রার্থী পাপ্পু যাদব নতুন দল জন অধিকারী পার্টি গঠন করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছিল আরজেডি। মাত্র ৮টি আসনে জয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেসের অতিরিক্ত আসনের দাবি মানতে নারাজ লালুপ্রসাদ যাদবের দল। 


এনডিএ-তে আসন সমঝোতা নিয়ে জট কাটাতে অবতীর্ণ হয়েছেন খোদ অমিত শাহ। পটনায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মোদীর সেনাপতি। আসন বণ্টনে নিজের ভাগ বেশি চাইছেন নীতীশ কুমার।বিহারে ২২টি আসন গতবার জিতেছিল বিজেপি। সেই সমীকরণে বিজেপির পক্ষেও শরিকের আবদারে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।


সবমিলিয়ে মহাজোট ও এনডিএ-র সমীকরণে আসন বণ্টনই হয়ে উঠেছে যাবতীয় জল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। সমাধানসূত্র কোন পথে, তা বলবে ভবিষ্যত্।


আরও পড়ুন- মরাঠি বিক্ষোভের আশঙ্কায় মন্দিরে 'মহাপুজো' এড়ালেন ফড়ণবীস