নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জিতে মেঘালয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এল কংগ্রেস। গারো পাহাড়ের আমপাতি আসনটি জিতে এবার ২১টি আসন নিজেদের দখলে রাখল কংগ্রেস। অন্যদিকে, এনপিপি-র দখলে রয়েছে ২০টি আসন। বর্তমানে বিজেপি, ইউডিপি সহ কয়েকটি দলের সমর্থনে মেঘালয়ে কনরাড সাংমার নেতৃত্বে সরকার গড়েছে এনপিপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৩ সাল থেকে মেঘালয় ছিল কংগ্রেসের দখলে। ফলে, ২০১৮-র ভোটে কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজাররা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কাজ করার অভিযোগে আর গোষ্ঠীকোন্দল মেঘালয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বপ্ন বানচাল হয়ে যায় কংগ্রেসের।


মেঘালয় বিধানসভায় মোট আসন ৬০। তাতে প্রথমে ভোট হয় ৫৯টি আসনে। একটি আসনে ভোটের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হয়। ফলে, ৫৯ আসনে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়ায় ৩০। ৫৯টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ২১টি আসন। এনপিপি দফলে যায় ১৯ আসন, বিজেপি-২ ও অন্যান্য-১৭।


আসন সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও ম্যাজিক ফিগার থেকে অনেক দুরে ছিল কংগ্রেস। ফলে জোট গঠনের তত্‍পরতায় নামে এনপিপি ও বিজেপি। আশঙ্কাকে সত্যি করেই ভোটের পর এনপিপি, বিজেপি, ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি(ইউডিপি) ও এইচএসপিডিপি জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে। পরে, বাকি থাকা একটি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। তাতে জয় পায় এনপিপি। এদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা নিজে আমপাতি ও সংশাক কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং দুই কেন্দ্রেই জয় পান। নিয়ম অনুসারে একটি আসন তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়। পাঁচ বারের জেতা আমপাতি আসনে অবশেষে নতুন করে ভোটগ্রহণ করা হয়। কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হন মুকুল সাংমার কন্যা মিয়ানি ডি শিরা। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। ৩১৯১ ভোটে নিকটতম এনপিপি প্রার্থীকে তিনি পরাজিত করেন।


এই জয়ের ফলে এখন এই শৈল্যরাজ্যে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ২১। এখন দেখার কর্ণাটকে বিজেপির দেখানো পথেই কি মেঘালয়ে হাঁটবে কংগ্রেস?