নিজস্ব প্রতিবেদন: মিলিন্দের পর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি পদ থেকে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলের উদ্দেশে চিঠি দেওয়ার পরই একের পর এক কংগ্রেস নেতা তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। জোর জল্পনাও তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মুম্বইয়ের কংগ্রেসে প্রধান মিলিন্দ দেওরার ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসাবে জানান, জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেই দিল্লি যাচ্ছেন। তাঁর এই মন্তব্য ভীষণ ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারে বাইরে কাউকে নিযুক্ত করা হোক। আবার অনেকে মনে করছেন যুবা নেতার হাতেই ওই পদে রাশ থাকুক। মিলিন্দ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো তরুণ কংগ্রেস নেতার ইস্তফা দেওয়ার পরই জল্পনা আরও জোরালো হয়। তাহলে তাঁরা কি সভাপতি পদের দৌড়ে রয়েছেন! কংগ্রেস অন্দরে খবর,  দৌড়ে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো প্রবীণ নেতারাও।


তবে, কংগ্রেসের একাংশের দাবি, রাহুল গান্ধী তাঁর চিঠিতে পরাজয়ের দায়ভার নেওয়ার বার্তা দেন। তিনি জানান, যাঁরা দলের নেতৃত্বে ছিলেন নিজের দায় নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এতে দলীয় কর্মীদের কাছে সদর্থক বার্তা পৌঁছবে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ‘পারিবারিক দুর্গ’ বলে পরিচিত মধ্য প্রদেশের গুনা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েও পরাজিত হন। মুম্বই দক্ষিণ থেকে লড়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মিলিন্দ। কিন্তু শিবসেনার দুর্গে দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হন মিলিন্দও। শিবসেনার প্রার্থী অরবিন্দ সওয়ান্তের কাছে প্রায় দু লক্ষ ভোটে পরাজিত হন।


আরও পড়ুন- বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ইস্তফা দিলেন মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান মিলিন্দ দেওরা


গত ২৬ জুন দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন মিলিন্দ। সেখানেই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি এই বার্তা পৌঁছে দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপালদের কাছেও। এ দিন তিনি জানান, দলের স্বার্থেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমার মনে  হয়েছে ইস্তফা দেওয়া প্রয়োজন। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় হারে রাহুল গান্ধীও ইস্তফা দেন সভাপতি পদ থেকে।


 চলতি সপ্তাহে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন রাহুল। আপাতত ওই পদ সামলাচ্ছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মতিলাল বরা। গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পদে কাউকে বসানো হবে এ খবর নিশ্চিত হলেও এখনও পর্যন্ত নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে।