হিমাচলের ভোটযুদ্ধে বিজেপির `দাগী` বনাম কংগ্রেসের `কোটিপতি`
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাগী না কোটিপতি, ভোট দেবেন কাকে? আপাতত এই প্রশ্নের ভুলভুলাইয়াতে ঘুরপাক খাচ্ছেন হিমাচলের ভোটাররা। সে রাজ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যায় বিজেপির চেয়ে ঢের এগিয়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। অন্যদিকে, দাগী প্রার্থীর সংখ্যার কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে অনেক এগিয়ে গেরুয়া শিবির।
হিমাচলপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর। তাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, কংগ্রেসের ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৯ জনের সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি। অর্থাত্ ৮৭ শতাংশ কংগ্রেস প্রার্থীই কোটিপতি। অন্যদিকে, বিজেপির ৪৭ জন প্রার্থীর কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে। তবে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী বিজেপিরই বলবীর সিং বর্মা। চোপাল কেন্দ্রের এই বিজেপি প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা। তারপর রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং। তিনি ৮৪ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
এতো গেল সম্পতির বিবরণ। কিন্তু, বাকি রয়ে গেল অপরাধের হিসাবখাতা। সেদিকে অবশ্য রাহুল-সনিয়ার দলকে গোহারা হারিয়েছে মোদী-শাহর পদ্ম শিবির। কারণ, বিজেপির ৬৮জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে চলছে ফৌজদারি মামলা। তাঁদের মধ্যে আবার ৯ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, খুনের চেষ্টা ও অপহরণের মতো মারাত্মক অভিযোগ। উল্টোদিকে, কংগ্রেসের ৬জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা।
এদিনই সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দাগী বিধায়ক ও সাংসদদের আজীবনের জন্য নির্বাসিত করা উচিত। তারপরই ভারতীয় রাজনীতির এই 'চেনা' ছবি আবারও একবার সামনে আসায় মুচকি হাসছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন, দাগী সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন নির্বাসন, সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন