নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মসংস্থান নিয়ে মিথ্যা দাবি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য নিতিন গডকড়িই বলছেন, দেশে চাকরি নেই।  রবিবার 'বেকারত্ব' ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদীকে কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র পবন খেরার কথায়, ''কর্মচারী ভবিষ্যত্ নিধির পরিসংখ্যানের সঙ্গে কর্মসংস্থানকে কীভাবে মিলিয়ে দিচ্ছে সরকার!'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন,''গত ৯ মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডে যোগ হয়েছেন প্রায় ৪৫ লক্ষ নতুন সদস্য। নতুন পেনশন প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন ৫.৬৮ লক্ষ'। প্রসঙ্গত, গত মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর-এপ্রিলে ইপিএফও-র নতুন সদস্য নথিভূক্তকরণের প্রস্তাবিত সংখ্যা ৩.৯৫ লক্ষ বা ৯.৬ শতাংশ কমিয়ে করা হয়েছে ৩৭.৩১ লক্ষ। তা আগে ভাবা হয়েছিল ৪১.২৬ লক্ষ সদস্য নতুন নথিভূক্ত হতে পারেন। 


CMEI-এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে খেরা বলেন, ''বিমুদ্রাকরণের পর কাজ হারিয়েছেন ১.২৬ কোটি মানুষ। কোনওদিনই এই পরিসংখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করেননি প্রধানমন্ত্রী''। কংগ্রেসের মুখপাত্র আরও বলেন, ''২০১৪ সালে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 'অচ্ছে দিনে'র কথাও বলেছিলেন। নিজের ব্যর্থতা সত্ত্বেও 'অচ্ছে দিন' এসেছে বলে মানুষকে বিশ্বাস করাতে চান তিনি। এখন বলছেন, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। নিজেই ৪৮ মাসের সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী''।


সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারের তিনটি কাজ তুলে ধরতে পারেননি বলেও অভিযোগ কংগ্রেস মুখপাত্রের। তাঁর কথায়, ''৪ বছর সরকারে থাকার পরও নিজের তিনটি কাজের কথা বলতে পারছেন না মোদী। এভাবে দেশের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন না তিনি। পরিসংখ্যান নিয়ে এভাবে খেলবেন না''।    


এদিন গণপিটুর ঘটনায় বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ''এই ধরনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজনীতি করা অত্যন্ত হাস্যকর। হিংসা ও অপরাধের ঘটনায় মিলিতভাবে বিরোধিতা না করে রাজনৈতিক লাভ তুলছে বিরোধীরা। এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়''। মোদী আরও বলেন, ''গণপিটুনি ও এই ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে একাধিকবার স্পষ্টভাবে সোচ্চার হয়েছে আমার  দল। সমাজে একতা ও শান্তির লক্ষ্যে সকলকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে''। 


অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''যাঁরা নিজেদের উপরে ভরসা হারিয়েছেন, জনসমর্থন হারানোর ভয় পাচ্ছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপরেও বিশ্বাস নেই, তাঁরাই দেশকে টুকড়ে টুকড়ে, রক্তগঙ্গা ও গৃহযুদ্ধের মতো মন্তব্য করছেন। দেশের প্রতি তাঁদের টান নেই''


আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোদীকে পাল্টা প্রশ্নবাণ তৃণমূলের