নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গুলাম নবি আজাদের মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস। তারা জানিয়ে দিল, নাগরিক সমীক্ষা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই তাদের। তবে রাজীব গান্ধীর জমানার সমঝোতা মেনে চলা উচিত বিজেপির। অর্থাত্ নাগরিকপঞ্জি যে রাজীব গান্ধীর উদ্যোগ, তা বুঝিয়ে দিল কংগ্রেস।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি টিভি চ্যানেলে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, নাগরিকপঞ্জির বিরোধী নয় কংগ্রেস। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অসম সমঝোতা অনুযায়ী তা করা উচিত। কোনও ভারতীয় যাতে হেনস্থা না হয় তা নিশ্চিত করা উচিত বলে মত প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার। তাঁর কথায়, দেশের নাগরিকত্ব প্রমাণে উপযুক্ত সুযোগ দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি আইনি সহায়তাও দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। মানবিকতার ভিত্তিতেই বিষয়টি কংগ্রেস দেখছে বলে জানান আজাদ। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতা করছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যসভার সাংসদ।


নাগরিকপঞ্জী নিয়ে অহমিয়াদের ভাবাবেগের বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। অসমে মমতার সংগঠন নেই, ফলে অলআউট আক্রমণে তাঁর লোকসানের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মত রাজনৈতিক মহলের। অনেকেই মনে করছেন, নাগরিকপঞ্জীর সরাসরি বিরোধিতা করলে ২০১৯ সালে অসমে ধাক্কা খেতে হবে কংগ্রেসকে। নাগরিকপঞ্জীর সমর্থন দেওয়া মানে বিজেপির পাশে দাঁড়ানো।এতে সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ফলে নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা না করে গলদ তুলে ধরতে চাইছে কংগ্রেস।     


কংগ্রেসের এই অবস্থান বুধবার স্পষ্ট করেছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেছিলেন, ''নাগরিকপঞ্জী আমাদের সন্তান। সেটা নিয়ে বিরোধিতা করছি না। আমরা সরকারকে বলছি, সঠিক তথ্য প্রকাশ করুন। এই নাগরিকপঞ্জী ভুলে ভরা''।   


অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অবশ্য পিছুটান নেই মমতার। 'বাঙালি খেদাও'য়ের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, নাম, পদবী দেখে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করছে বিজেপি। এর ফলে লাগতে পারে গৃহযুদ্ধ। এদিন দশ জনপথে সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''৪০ লক্ষ মানুষের নাম না থাকাই উদ্বেগের''। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, অসমে গিয়ে পরিস্থিতি সরজমিনে দেখে আসবেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই মতো এদিন অসমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তৃণমূলের ৮ সদস্য। এরপর বিমান থেকে নামতেই আগাম সতর্কতা হিসেবে শিলচর বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করে অসম পুলিস। তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে অভিযোগ করেন, মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে। তাঁদের গায়ে হাতও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের। পরে তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করে পুলিস। 


আরও পড়ুন- দিল্লিতে 'দিদি'গিরি, লোকসভার আগে ব্যালটযুদ্ধে ১৭ দলকে একমঞ্চে আনলেন মমতা