সহজেই আস্থাভোটে জয় কুমারস্বামীর, অস্বস্তি এড়াতে কক্ষত্যাগ বিজেপির
১১৭ ভোট পেয়ে আস্থাভোটে জয়ী কুমারস্বামী। তার আগেই কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবিতে ওয়াকআউট বিজেপির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের আস্থাভোট নিয়ে চূড়ান্ত নাটক কর্ণাটক বিধানসভায়। শুক্রবার এইচডি কুমারস্বামীর শক্তিপরীক্ষার আগেই ওয়াকআউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবিতে ২৮ মে কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আস্থাভোটে হারের অস্বস্তি এড়াতেই কক্ষত্যাগের কৌশল নিল বিজেপি। এর পাশাপাশি দলীয় বিধায়কদের ক্রসভোটিংয়ের সম্ভাবনার আশঙ্কাও কাটল। এদিন প্রত্যাশামতোই আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সমস্যা হয়নি কুমারস্বামীর। ১১৭টি ভোট পেয়েছেন তিনি।
আস্থাভোটের অধিবেশন শুরু হতেই কর্ণাটকের ২ দিনের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করেন, কৃষকদের ঋণ মকুব না করা হলে ২৮ জুন রাজ্যজুড়ে বনধ পালন করবে বিজেপি। এরপরই সদলবলে বেরিয়ে যান তিনি। বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়ক আর আশোক বলেন, ''কৃষক ঋণ মকুবের দাবিতে আমরা ওয়াকআউট করেছি। ২৮ মে রাজ্যজুড়ে বনধ ডেকেছি। বিজেপি এবার আগ্রাসী আন্দোলনে নামবে।''
গত শনিবার সমর্থন জোগাড় করতে না পারায় আস্থাভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ইয়েদুরাপ্পা। এরপর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার পুত্র কুমারস্বামী। এদিন আস্থাভোটে ১১৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ৭৮জন বিধায়ক রয়েছে কংগ্রেসের। জেডিএসের হাতে রয়েছে ৩৭জন বিধায়ক। দুজন নির্দলপ্রার্থীরও সমর্থন পেয়েছেন কুমারস্বামী।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের বিকৃত মানচিত্রের ছবি টুইট করে বিতর্কে সুনীল দেওধর