নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার ফের উত্তাল হলো দিল্লির জামা মসজিদ চত্বর। নয়া নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন কয়েক শো মানুষ। ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা, দিল্লির প্রাক্তন বিধায়ক শোয়েব ইকবাল। গত শুক্রবার এই জামা মসজিদে তুমুল বিক্ষোভ ছড়ায়। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদ। পরে ওই বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, নিরাপত্তা ঢেলে সাজিয়েছে দিল্লি পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরনো দিল্লির বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষী। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। জাফরাবাদ, সীলামপুর, উত্তর প্রদেশ ভবন-সহ বেশ কিছু জায়গায় মিটিং-মিছিল না করার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার কথা জিমিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।



আরও পড়ুন- দেশের সব নাগরিক হিন্দু নয়, ভগবতের সমালোচনায় মুখর মোদী সরকারের মন্ত্রী


জামা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে অলকা লাম্বা বলেন, বেকারত্ব দেশের সবচেয়ে বড় সমস্য়া। এনআরসি-সিএএ করিয়ে প্রধান ইস্যুগুলোর উপর নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিল্লির জামা মসজিদের সামনে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। ধর্মীয় স্থলে বিক্ষোভ দেখানোয় অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। তা সত্ত্বেও চন্দ্রশেখর আজ়াদ পুলিসের নজর এড়িয়ে জামা মসজিদে প্রবেশ করেন। এরপর সংবিধান রেপ্লিকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁকে আটক করলেও পালিয়ে যান তিনি। বিকেলে জমায়েতের অভিমুখ যন্তর-মন্তরের দিকে গেলে পুলিসের সংঘর্ষ বাধে। আহত হন অনেকে।