নিজস্ব প্রতিবেদন: লন্ডনে ‘স্বঘোষিত প্রযুক্তিবিদ’ সৈয়দ শুজার সাংবাদিক বৈঠকে কী করছিলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল? ইভিএম কারচুপির বিতর্কের সঙ্গে এই প্রশ্নেও সরগরম রাজনৈতিক মহল। যদিও কপিলের সাফাই, কংগ্রেসের প্রতিনিধি হয়ে ওই বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। ব্যক্তিগত কারণেই উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সাংবাদিক বৈঠকে। কিন্তু কপিলের যুক্তিতে চিড়ে ভেজেনি বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেসের ‘সৌজন্যে’ ওই বৈঠক আয়োজন করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল দাবি করেন, ইভিএম নিয়ে কোনও কারচুপি হয়ে থাকলে, গণতন্ত্রের উপর আঘাত আসবে। কোনও দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের চেয়ে জনগণের ভবিষ্যতের প্রশ্ন উঠে আসছে। শুজার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ৮৫ শতাংশ লুঠের টাকা দেশবাসীর ব্যাঙ্কে ১০০ শতাংশ পৌঁছে দিয়েছি: মোদী


লন্ডনের বৈঠকে সিব্বলের হাজির থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।  তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিপুল জয়কে অবমাননা করতেই কংগ্রেসের মদতে ওই বৈঠক করা হয়। দেশের জনগণকেই কংগ্রেস অসম্মান করছে বলে দাবি তাঁর। ইভিএম নিয়ে হায়দরাবাদের ‘প্রযুক্তিবিদ’ সৈয়দ শুজার বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ইকনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনে শুজারের সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ১(বি) ধারায় (বিভ্রান্তিমূলক নথি প্রকাশ্যে আনা) এফআইআর-র আবেদন জানাবে নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন- ঘুষখোরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাসী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট!


সাংবাদিক বৈঠকে ‘প্রযুক্তিবিদ’ সৈয়দ শুজা দাবি করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম-এ ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। যার নেপথ্যে বিজেপি ছিল বলে দাবি শুজার। তিনি বলেন, নিম্ন তরঙ্গের কম্পনের মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক করে বিজেপি। শুজা নিজেকে ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ‘প্রাক্তন কর্মী’ বলে দাবি করেছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রযুক্তি প্যানেলের সদস্য রজত মুনা ইভিএম কারচুপির অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেন। তাঁর কথায়, ইভিএম কোনওভাবে তার দ্বারা বা তার বিহীন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না। এমনকি তিনি দাবি করেন, ২০১০ সাল থেকে এই প্যানেলে সদস্য রয়েছি। সৈয়দ শুজা নামে কোনও ইভিএম ডেভালপার কাজ করেছিল কি-না তা মনে করতে পারছি না।