‘কাতিলের’ হাত শক্ত নয়, শাহিনবাগ থেকে মণির ‘বিতর্কিত’ বার্তা
রাজনৈতিক রং না লাগলেও, ওই আন্দোলনে আনাগোনা রয়েছে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের। মঙ্গলবার, সেই মঞ্চে গিয়ে মণিশঙ্কর কার্যত বিজেপিকে একহাত নেন। সিএএ-এনআরসি মোকাবিলায় জোট বাঁধার আহ্বান দেন মণিশঙ্কর। বলেন, “দেখা যাক কার হাত শক্ত হয়। আমাদের না হত্যাকারীদের।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির শাহিনবাগের মঞ্চ থেকে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার জানালেন, দেশের জন্য আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত। এনআরসি-সিএএ বিরোধিতায় একমাস ধরে শাহিনবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন মহিলারা। ঘর থেকে বেরিয়ে মুসলিম মহিলারাই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনৈতিক রং না লাগলেও, ওই আন্দোলনে আনাগোনা রয়েছে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের। মঙ্গলবার, সেই মঞ্চে গিয়ে মণিশঙ্কর কার্যত বিজেপিকে একহাত নেন। সিএএ-এনআরসি মোকাবিলায় জোট বাঁধার আহ্বান দেন মণিশঙ্কর। বলেন, “দেখা যাক কার হাত শক্ত হয়। আমাদের না হত্যাকারীদের।”
বিজেপি সরকারকে নিশানা করে প্রাক্তন সাংসদ মণিশঙ্কর জানান, এই সরকার ‘সবকা বিকাশ সবকা সাথের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন ‘সবকা সাথ সবকা বিনাশ’ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। শাহিনবাগের আন্দোলনের প্রশংসা করে মণিশঙ্কর বলেন, “তোমরা বলেছো কোনও রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্ব ছাড়াই এই আন্দোলন চলছে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে গত ৩০ দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সত্যি প্রশংসার।”
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে ফিরছে ব্রডব্যান্ড; পরিষেবা পাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্থা’, বন্ধই থাকছে সোশ্যাল মিডিয়া
নয়া নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। বিভিন্ন জায়াগা ভয়াবহ হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তর প্রদেশে হিংসা দমন করতে গিয়ে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক। যোগী প্রশাসনের এই দমননীতির বিরুদ্ধে শুরু হয় আরও জোরদার আন্দোলন। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জে অভিযোগ দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে। জেএনইউ পড়ুয়াদের সঙ্গেও দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে পুলিসের। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পরই শাহিনবাগে বিক্ষোভ আন্দোলনের আকার ধারণ করে।