নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকালই স্পিকারের কাছে আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। জোট সরকারের এ হেন সিদ্ধান্তে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ খুঁজে পেয়েছিলেন পর্যবেক্ষকরা। জল্পনা আরও উস্কে দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী। সেই কারণেই আস্থা ভোটের দিকে এগোচ্ছি।” এরপর সিদ্দারমাইয়ার বিস্ফোরক মন্তব্য, “বিজেপি ভয় পাচ্ছে, কারণ ওরা জানে তাদের দলের মধ্যেও কিছু কালো ভেড়া রয়েছে।” অর্থাত্ বিজেপির কিছু বিধায়ক কংগ্রেস-জেডিএস-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে? সরাসরি উত্তর না দিলেও তাঁর এই মন্তব্যে এমনই সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শুক্রবার, বিধানসভায় স্পিকারের কাছে আস্থা ভোট করানোর জন্য সময় নির্ধারণের দাবি জানান কুমারস্বামী। এর পর কংগ্রেস, জেডিএস ও বিজেপি প্রত্যেকেই তাদের বিধায়কদের উপর হুইপ জারি করে। বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। স্পিকার রমের কুমারের বিরুদ্ধে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। এর পর আদালতের নির্দেশে জোট সরকারের ৮ বিধায়ক ইস্তফাপত্র জমা দেন।


আরও পড়ুন- ক্রমশ খারাপ হচ্ছে অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি, মৃত ১০


পরে কোর্টের কাছে স্পিকার জানান, এত কম সময়ে তাঁর পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এরপর সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া বিষয়য়ে স্থগিতাদেশ জারি করে জানায় আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাত্, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ফয়সলা কিছু হচ্ছে না। আরও দুই-তিন দিন হাতে সময় পাওয়া জোর কদমে দল গোছাতে শুরু করে জেডিএস-কংগ্রেস জোট।