সনিয়ার জন্যই পথে বসতে হয় সীতারামকে, `কংগ্রেস সভাপতি’ বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন মোদী
মোদীর মন্তব্য, দেশ জানে কেন কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি সীতারাম কেশরী। সনিয়া গান্ধীকে প্রেসিডেন্ট করতেই অফিস থেকে বের করে সীতারামকে ফুটপাথে বসানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছত্তীসগঢ়ের চূড়ান্ত দফার নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্ন। রবিবার, মহাসমুন্দ জেলা থেকে যেন ঘড়ির কাঁটা ধরে কংগ্রেসকে বিঁধতে শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী। ফের নেহরু-গান্ধী পরিবারকে দলাইমলাই করে ছাড়লেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি বিতর্ককে আরও এক ধাপ উস্কে দিয়ে মোদী বলেন, সনিয়া গান্ধীর জন্যই কংগ্রেস অফিস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল দলিত নেতা সীতারাম কেশরীকে।
আরও পড়ুন- স্বস্তি মিলবে রাজধানী-শতাব্দীর যাত্রীদের! মার্চেই আসছে নয়া ফ্লেক্সি ফেয়ার
মোদীর মন্তব্য, দেশ জানে কেন কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি সীতারাম কেশরী। সনিয়া গান্ধীকে প্রেসিডেন্ট করতেই অফিস থেকে বের করে সীতারামকে ফুটপাথে বসানো হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীই দাবি করেছেন, নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে পূর্ণ মেয়াদে সভাপতি করে দেখাক, তবে বুঝব দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন নেহরু। এরপরই মোদীর পাল্টা তালিকা দিতে শুরু করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। আচার্য কৃপালানি, পট্টবি সীতারামাইয়া, পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন প্রমুখের উদাহরণ টেনে চিদাম্বরম বলেন, কংগ্রেস সভাপতি নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট না করে রাফাল, কৃষক হত্যা, বেকার সমস্যা, নোটবাতিল নিয়ে একটু বলুন প্রধানমন্ত্রী। তবে, বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল শশী থারুরের মন্তব্যে। এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, নেহরু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেই, আজ একজন চা-ওয়ালাও দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জীতে বাদ ৪০ লাখ, এখনও পর্যন্ত আবেদন করলেন সাড়ে ৪ লাখ মানুষ
রবিবার মহাসমুন্দের নির্বাচনী সভায় কংগ্রেসের ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, এক পরিবারের ৪ প্রজন্ম দেশ শাসন করেছে। লাভবান হয়েছে তারা। কিন্তু দেশ কতটা লাভবান হয়েছে? তীর্যক সুরে মোদীর আরও মন্তব্য করেন, এক সময় দিল্লি থেকে সরকার পরিচালনা করা হত। আর রিমোট থাকতো এক পরিবারের হাতে। মোদীর অভিযোগ, কেন্দ্রে কংগ্রেস থাকাকালীন রাজ্য চালাতে গিয়ে রমন সিংকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। গত ১০ বছর ছত্তীসগঢ়ে দিকে ফিরে তাকায়নি কংগ্রেস।