স্বস্তি মিলবে রাজধানী-শতাব্দীর যাত্রীদের! মার্চেই আসছে নয়া ফ্লেক্সি ফেয়ার
২০১৬ সালে দেশের ৪৪টি রাজধানী এক্সপ্রেস, ৪৬টি শতাব্দী এক্সপ্রেস ও ৫২টি দুরন্ত এক্সপ্রেসের ভাড়া ফ্লেক্সি ফেয়ার সিস্টেমে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। তবে রয়েছে টিকিট কাটার সিস্টেমে স্যফটওয়ার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা। সেই কারণে এখনই রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দীর মতো কিছু ট্রেনে নতুন ফ্লেক্সি ফেয়ার চালু করা যাচ্ছে না। এটি চালু হবে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকে।
আরও পড়ুন-‘প্রাক্তন সঙ্গীকে ফিরে পেতেই মেয়েরা ধর্ষণের অভিযোগ করে’
গত ৩১ অক্টোবর রাজধানী, দুরন্তের মতো কিছু ট্রেনে ফ্লেক্সি ফেয়ার সিস্টেমে কেনা টিকিটের দাম কম করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু টিকিট সিস্টেমে স্যফটওয়ার সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তা চালু করা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে দেশের ৪৪টি রাজধানী এক্সপ্রেস, ৪৬টি শতাব্দী এক্সপ্রেস ও ৫২টি দুরন্ত এক্সপ্রেসের ভাড়া ফ্লেক্সি ফেয়ার সিস্টেমে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। ফলে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওইসব ট্রেনের টিকিটের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে এনিয়ে তুমুল শোরগোল উঠে যায় বিভিন্ন মহলে। লক্ষ্য করা যায় আসন ফাঁকা থাকলেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে না ওইসব ট্রেনের। সেই লোকসানের ভার এসে পড়েছে রেলের ওপরে। এর পরই ফ্লেক্সি ফেয়ার পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল।
আরও পড়ুন-বিদেশে বিয়ে সেরে দেশে ফিরলেন 'দীপবীর', দেখুন প্রথম ছবি
প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির লোকসান কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি রুটে ১৫টি ট্রেনে ফ্লেক্সি ফেয়ার তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল কালকা-নয়াদিল্লি, নয়াদিল্লি-লুধিয়ানা, দিব্রুগড়-গুয়াহাটি শতাব্দী এক্সপ্রেস। গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও অগাস্ট মাসে আরও ৩২টি ট্রেনে ফ্লেক্সি ফেয়ার পদ্ধতি তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল বিলাসপুর-নয়াদিল্লি, রাঁচি-নয়াদিল্লি রাজধানী, পুনে-সেকেন্দ্রবাদ, নয়াদিল্লি-অমৃতসর, কাঠগোদাম-আনন্দবিহার, রাঁচি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস। প্রসঙ্গত, গত আর্থিক বছরে ফ্লেক্সি ফেয়ার সিস্টেম চালু করে রেল ৮০০ কোটি টাকা আয় করেছে।