নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরতই জোরালো সঙ্কট তৈরি হল মধ্য প্রদেশের কংগ্রেসের অন্দরে। এক দিকে সরকারের ভাঙন রোখার প্রবল চেষ্টা। অন্য দিকে লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়। এই দুই ইস্যুর মোকাবিলায় রবিবার দফায় দফায় সপার্ষদ এবং পরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। এক সঙ্গে থাকার বার্তা দেওয়া  হয় কংগ্রেস বিধায়কদের। প্রদেশ কংগ্রেসের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে দল ভাঙাতে পারে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কাযত ধূলিসাত্ হয়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মধ্য প্রদেশের ২৯ লোকসভা ২৮টিই বিজেপির দখলে। মাত্র একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। দলের তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও পারিবারিক দুর্গ বলে পরিচিত গুনা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন। তবে, দলের কর্মীরা চাইছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের রাশ মাধবরাও সিন্ধিয়ার পুত্রের হাতেই তুলে দেওয়া হোক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে দুটি পদ সামলাচ্ছেন কমল নাথ। দলের সাধারণ সচিব দীপক বাবারিয়ার মন্তব্যে তীব্র অস্বস্থিতে পরতে হয় কমল নাথকে। তাঁর দাবি ছিল, পরাজয়ের জেরে  খোদ কমল নাথই সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন। তড়িঘড়ি ড্যামজ কন্ট্রল করে তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের শেষে এমনটা জানিয়েছিলাম। এখন তো কোনওভাবেই নয়।


আরও পড়ুন- কুম্ভমেলা সম্পর্কে ধারণাটাই বদলে দিয়েছে সরকার; বারাণসীতে কী বললেন মোদী, জানুন ২০ পয়েন্টে


উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসে সরকার গড়ার সময় রাহুল গান্ধীর কাছে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল মুখ্যমন্ত্রী কাকে করবেন? এক জন অভিজ্ঞ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, অন্য জন একেবারে তরুণ মুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যদিও গতানুগতিক সিদ্ধান্তই নিতে হয় রাহুল গান্ধীকে। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য মুখ্যমন্ত্রী না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয় দলের একাংশের। উলটো দিকে মায়াবতীর সমর্থনে সরকার চালাচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপির ব্যাপক জয়ের পর কংগ্রেসের সরকার ভেঙে যাওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।