নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রকাশিত কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘বিপজ্জনক প্রতিশ্রুতি’ বলে ব্যাখ্যা করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেন, অবাস্তব ইস্তাহার, যা লাগু করা সম্ভব নয়। দেশের অখণ্ডতা ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে অরুণ জেটলি বলেন, গত ৭২ বছরে বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার সাক্ষী থেকেছে দেশ। কংগ্রেসের নীতিহীন সিদ্ধান্তের মাসুল গুনছে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ। কিন্তু কংগ্রেস তার ইস্তাহারে অস্ত্র আইন সংশোধনের কথা বলছে। যা দেশের পক্ষে মারাত্মক সিদ্ধান্ত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে নতুন করে জঙ্গি-মাওবাদীদের কার্যকলাপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। জেটলি দাবি করেন, মোদীর জমানায় মাওবাদী উপদ্রব, জঙ্গি হামলা কমেছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ইস্তাহারে কেন কাশ্মীরের পণ্ডিতদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি?


আরও পড়ুন- ‘মুসলিমরা আমাদের বিশ্বাস করে না, তাই টিকিটও দেওয়া হয় না’, বিতর্কিত মন্তব্য এই বিজেপি নেতার


কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ইস্তাহার প্রকাশ করে বলেন, গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তাঁর দাবি দারিদ্র সীমার উপরে ২৫ শতাংশ মানুষ উঠে আসবে। জেটলি প্রশ্ন তোলেন, টাকা কীভাবে আসবে স্পষ্ট নয় ইস্তাহারে। তাঁর মতে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থের যোগান হবে বলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম যে দাবি করেছেন, তা হাস্যকর। ইউপিএ সরকারের আমলে ১০.৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে।


জিএসটি নিয়ে কংগ্রেসের তুলোধনা করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দেয়, পণ্য ও পরিষেবা করের ৫টি ধাপ সরিয়ে সরলীকরণের পথে যাবে তাদের সরকার। কিন্তু জেটলির প্রশ্ন, চাল ও মার্সিডিজের জিএসটি এক করতে চাইছে কংগ্রেস। আদতে এতে ফায়দা বড়লোকেদের হবে বলে মনে করিয়ে দেন জেটলি। কংগ্রেসের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রতিশ্রুতিকে হাস্যকর বলে কটাক্ষ করেন জেটলি।