নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানতে চেয়েছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের কী অবস্থান? জানতে চেয়েছিলেন, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, সেখানে দিল্লির কী ভূমিকা হবে? অধীরের এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল খোদ সনিয়া গান্ধীকে। কিছুটা বিরক্তি প্রকাশও করলেন। এরপরই বিজেপি সাংসদরা রে-রে করে ওঠেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ভারত বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে বিরোধিতা করে এসেছে। সরকার পক্ষের সাংসদরা এ বিষয়ে সরব হওয়ায়, অধীর চৌধুরী বলেন, “সরকার স্পষ্ট করুক কাশ্মীর ইস্যু অভ্যন্তরীণ না দ্বিপাক্ষিক বিষয়।” সিমলা চুক্তি, লাহোর ডিক্লেরেশনের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব চান তিনি। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ মনে করিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাংবিধানিক পথেই এর সমস্যা হবে।



অধীরের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হলে, পরে তিনি জানান, ১৯৪৮ সালের পর যেখানে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিষয়টির উপর নজর রেখেছে, সেখানে কেন্দ্র কীভাবে মোকাবিলা করবে, জানতে চাওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কাশ্মীর নিয়ে কী বিবৃতি দেবেন? ১৯৯৪ সালে সংসদে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির প্রস্তাব সর্বসম্মতিভাবে গৃহীত, এখন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অবস্থান কী হবে? এ সবই সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান অধীর চৌধুরী।


আরও পড়ুন- গত ৮৫ বছর মন্দির চত্বরে প্রবেশাধিকার ছিল না মুসলিমদের, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল নির্মোহী আখাড়ার


জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু-কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যতবার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, ততবারই পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং আকসাই চিনকে নিয়ে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় শুধু এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বলেন, এই ভূখণ্ডের জন্য প্রাণও দিতে প্রস্তুত।



উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লির এই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপের দাবি জানায় ইমরানের সরকার। রাষ্ট্র সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ভারত এবং পাকিস্তানকে সংযত থাকারও বার্তা দেওয়া হয়। কাশ্মীর বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অবস্থান জানতে চাইলে,  মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান, এতদিন যে অবস্থান ছিল, আগামী দিনে তাই থাকবে। তবে, সে স্পষ্ট কিছু বলেননি দুজারিক।