Congress President Election: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে নেই, গেহলতকে এক পদের কথা মনে করালেন রাহুল
সোনিয়া গান্ধী প্রিয়পাত্র অশোক গেহলত যদি দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে হয়তো চাপে পড়ে রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হতে পারে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে এখনওপর্যন্ত তিনি নেই। কিন্তু ভোটের সুর বেঁধে দিলেন তিনিই। ভারত জাগাও যাত্রায় বেরিয়ে দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আজ কেরালায় রাহুল গান্ধী বলেন, নতুন কংগ্রেস প্রেডিডেন্টকে মনে রাখতে হবে এই পদে এলে দলের বেশকিছু আদর্শকে তুলে ধরতে হবে। কারণ সভাপতির পদটি আসলে একটি আদর্শের প্রতীক। পাশাপাশি, উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে এক ব্য়ক্তি, এক পদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞার মতো। সেটি যেন রক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন-Tala Bridge: পুজোর আগে বড় উপহার, মমতার হাত ধরে খুলে গেল নতুন টালা ব্রিজ
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ২৩ হেভিওয়েট নেতার বিক্ষোভের পর জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। সোনিয়া গান্ধীর ছত্রছায়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতা। তার পরই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দলের সভাপতি নির্বাচন করতে চলেছে জাতীয় কংগ্রেস। সেই নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছেন শশী থারুর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতও জানিয়েছেন, শশী যদি লড়াইয়ে নামতে পারেন তাহলে আমি কেন নয়। অর্থাত্ বড়সড় অঘটন না ঘটলে ১৯ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে লড়াইয়ে নামছেন গেহলত। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন? নাকি সোনিয়ার আশীর্বাদে দুই দায়িত্বই পালন করবেন তিনি। সেই কথাটাই আজ গেহলতকে মনে করিয়ে দিয়েছেন রাহুল। তবে রাজনৈতিক মহলের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চান না।
প্রায় দু'দশক পর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। ১৯৯৮ সাল থেকে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের পদ রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। মাঝে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০০০ সালে সভাপতি নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর কাছে হেরেছিলেন জিতিন প্রসাদ। এবার রাহুল গান্ধী কোনও লড়াইয়ে নেই। কেরালায় আজ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আমি আমার অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছি এবং আমি এতেই স্থির রয়েছি।
এদিকে গান্ধী পরিবারের বিশেষকরে সোনিয়া গান্ধী প্রিয়পাত্র অশোক গেহলত যদি দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে হয়তো চাপে পড়ে রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদ আসতে পারেন সচিন পাইলট। প্রসঙ্গত এই পাইলটের জন্যইএকসময় গেহলতের পদ যায়যায় অবস্থা হয়েছিল। তবে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল বলেছেন, এক ব্যক্তি এক পদ নীতি প্রয়োগ হতে পারে কে জিতছে তার উপরে।