তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার: কংগ্রেস
তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বেআইনি ঘোষণা করে অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রকে এভাবেই বিঁধল কংগ্রেস। এদিনই তিন তালাকের অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বেআইনি। অন্তত তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে দোষী স্বামীর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ভোটের লক্ষ্যে তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে ব্যবহার করছে মোদী সরকার। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম মহিলাদের উন্নয়ন না করে ভোটের ফায়দা তুলতে তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি। মুসলিম মহিলাদের আশঙ্কার কথা বিবেচনা না করেই প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্স নিয়ে দোষারোপের খেলা খেলেছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও মোদী সরকার।
আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকেও নিশানা করেছেন সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, ''সত্যকে চাপা দেওয়া, দমন, এড়ানো ও বিক্ষিপ্ত করা এনডিএ সরকারের ডিএনএ হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বিষয়েই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তরভাবে অভিযোগ করে তঞ্চকতা ও প্রতারণার নায়ক রবিশঙ্কর প্রসাদ। মহিলা নিরাপত্তা, একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনার জেরে কোণঠাসা বিজেপি নজর ঘোরাতেই তাড়াহুড়ো করে অধ্যাদেশে অনুমোদন দিয়েছে''। এর আগে অনুচ্ছেদ ৩৭০, আফস্পার মতো আইন নিয়ে মোদী সরকার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন সুরজেওয়ালা।
বিজেপিকে আক্রমণ করলেও কংগ্রেস যে তাত্ক্ষণিত তিন তালাকের বিরুদ্ধে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, ''আধুনিক সময়ে তিন তালাক প্রথা চলতে পারে না, সেটা প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসই বলেছিল। তাত্ক্ষণিক তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে শুধু স্বাগতই জানাইনি, কংগ্রেস নেতারা আবেদনকারীদের পক্ষে মামলাও লড়েছিলেন''। তাত্ক্ষণিক তিন তালাকের শিকার মহিলাদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে অধ্যাদেশে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই বলে দাবি করেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা।
প্রসঙ্গত, তালাক-ই-বিদ্দত বা তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সরকার "দ্য মুসলিম ওম্যান (প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৭" পাশ করিয়েছিল লোকসভায়। কিন্তু, রাজ্যসভায় বিলটিকে পাশ করাতে পারেনি সংখ্যালঘু সরকার। ফলে, তা আর আইন হয়ে উঠতে পারেনি। বিলটির সব দিক খতিয়ে দেখতে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করা হয়। বাদল অধিবেশনের শেষ দিন এই বিলে তিনটি প্রধান সংশোধনী নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন- পটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্রে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করছে না বিজেপি: সূত্র