নিজস্ব প্রতিবেদন: স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য বিতর্কে কংগ্রেস তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল। আজ এক বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। এটা কখনই দলের মতামত নয়। পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতৃত্বকে সতর্ক করে দেওয়া হয় এ ধরনের মন্তব্য না করার। কংগ্রেস জানায়, ১৯৮৪ সালে হিংসায় দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিচারের পক্ষে সমর্থন রয়েছে দলের। পাশাপাশি, ২০০২ গুজরাট হিংসার ঘটনা স্মরণ করিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯৮৪ বা ২০০২ সব হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার হওয়া উচিত। ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাতের উপর ভিত্তি করে যারা বা যে সব ব্যক্তিরা হিংসা ছড়ায়, তাদের ঘৃণা করে দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, ৮৪-র শিখ হিংসা নিয়ে বিজেপির দাবি তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর দফতর থেকে শিখ নিধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে  কংগ্রেসের বিদেশ শাখার প্রধান স্যাম পিত্রোদাকে প্রশ্ন করা হলে অত্যন্ত বিরক্তি সুরে তিনি বলেন, “এটা আরও একটি মিথ্যে প্রচার। ১৯৮৪ সালে কী হয়েছে সেটার চেয়ে কথা বলুন গত পাঁচ বছরের নিয়ে।” এর পর পিত্রোদার মন্তব্য, “১৯৮৪ সালে যা হয়েছে তা হয়েছে। আপনি কী করেছেন সেটা বলুন।” পিত্রোদার এই মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনায় নামে বিজেপি। প্রসঙ্গত, শিখ হিংসায় রাজীব গান্ধী প্রসঙ্গে কোনও উল্লেখ ছিল না নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে।


গত সপ্তাহে এক নির্বাচনী সভায় রাজীব গান্ধীকে এক নম্বরের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী। বফর্স বিতর্ক তুলে রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাজীব গান্ধীর খতিয়ান তুলে ধরে ভোটে লড়ুক কংগ্রেস। তাঁর কথায়, ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান হিসাবেই মৃত্যু হয় রাজীবের। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে কংগ্রেসের পাশাপাশি সরব হন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরীবাল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ও।


আরও পড়ুন- “মহিলাদের ও অসম্মান করতেই পারে না”, কুরুচিকর প্রচারপত্র বিতর্কে গম্ভীরের পাশে হরভজন সিং


যদিও প্রধানমন্ত্রী থেমে থাকেননি। এ বার দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে ফের রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে সওয়াল করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, ওই সময় দেশের একমাত্র রণতরী আইএনএস বিরাট-কে ব্যক্তিগত সফরে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এমনকি নৌসেনাকেও ব্যবহার করেন তিনি। যদিও মোদীর এই অভিযোগ খারিজ করে দেন ভাইস অ্যাডমিরাল বিনোদ পাসরিচা। ওই জাহাজের দায়িত্বে পাসরিচা জানান, আইএনএস বিরাট-কে ছুটি কাটানোর জন্য ব্যবহার করেননি রাজীব গান্ধী। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে বহাল ছিল নৌসেনা। প্রাক্তন অ্যাডমিরালের দাবি, রাজীব ত্রিবান্দ্রম থেকে কপ্টারে এসেছিলেন আইএনএস বিরাট-এ। লাক্ষাদ্বীপের ৩টি দ্বীপ ঘুরে দেখেন এবং বেশ কয়েকটি বৈঠকও করেন রাজীব।